১২:২২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • চিতা বিড়াল মেরে ফেসবুকে উল্লাস
ads
প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২২ ১:০৮ অপরাহ্ন
চিতা বিড়াল মেরে ফেসবুকে উল্লাস
প্রাণ ও প্রকৃতি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় নিরীহ বন্যপ্রাণী নিধন চলছেই। মাইকিং ও প্রচার প্রচারণা এবং মামলা দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না গ্রামাঞ্চলের নিরীহ শিয়াল, মেছোবিড়াল ও চিতা বিড়ালের মতো প্রাণীগুলো। শনিবারও উপজেলার কাচুয়া গ্রামে মেরে ফেলা হয় একটি চিতা বিড়ালকে।

বনবিভাগ মারা চিতা বিড়ালটি উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ডিভিশনার কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় রাতে চুনারুঘাট থানায় সাতছড়ি বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে অজ্ঞাত অনেকের নামে মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে উপজেলার হাকাজুরা গ্রামে বাঘ বলে প্রচার করে একটি শিয়াল এবং নুরমোহাম্মদপুর গ্রামে একটি মেছো বিড়াল হত্যা করে। এ দুটি ঘটনায় বনবিভাগ দুটি মামলা দায়ের করেছে। এতে চিহ্নিতসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার কাচুয়া গ্রামের নাপিত বাড়ির পুকুড়পাড়ে স্থানীয়রা একটি চিতা বিড়াল দেখতে পায়। পরে গ্রামবাসী বিশেষ করে তরুণ ছেলেরা মিলে চিতা বিড়ালটিকে মেরে ফেসবুকে ভাইরাল করে উল্লাস প্রকাশ করে। বিষয়টি জানতে পেরে সকাল ১১টায় সাতছড়ি বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বনকর্মীদের নিয়ে এসে মৃত চিতা বিড়ালটি উদ্ধার করে।

বন বিভাগ জানায়, যারা চিতা বিড়াল হত্যা করেছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা দায়েরের করেছেন বলে জানিয়েছেন বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। এ মামলায় ৬ জনকে আসামি করে অজ্ঞাত অনেকের নামে মামলা দায়ের করেন।

চিতা বিড়ালটির প্রায় ৪ কেজি হবে এবং দেড় ফুট প্রস্ত ও আড়াই ফুট লম্বা হবে। তার গায়ে গাড় কালো দাগ রয়েছে। এটি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

এবিষয়ে প্রকৃতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, এটি বিপন্ন প্রজাতির একটি চিতা বিড়াল। এটি সাধারণ বন ও গ্রামাঞ্চলেও বাস করে। এরা সাধারণত ইঁদুর, চিকা ও পাখি ও পাখির ডিম ধরে খায়। এরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে আমাদের উপকার করে এবং নিজেরা বেঁচে থাকে। তিনি মানুষকে আরও সচেতন হয়ে এসব নিরীহ প্রাণীকে বাঁচানোর আহবান জানিয়েছেন।

তিনি জানান, এর আগে চুনারুঘাটের রানীগাঁও ইউনিয়নের হাকাজুরা গ্রামে বাঘ বলে প্রচার করে একটি শিয়াল মেরে ফেলে গ্রামবাসী। এছাড়া উপজেলার নুরমোহাম্মদপুর গ্রামে কয়েকদিন আগে একটি মেছোবিড়াল পিঠিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী। দুটি ঘটনাই বনবিভাগ দোষীদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করেছে।

তিনি বলেন, আজ যারা চিতা বিড়াল পিঠিয়ে মেরেছে তাদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাতছড়ি বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, চুনারুঘাটে গত ২০-২২ দিন ধরেই বিভিন্ন এলাকায় মেছোবাঘ বলে মেছোবিড়াল, চিতা বিড়াল, শিয়াল ও গন্ধগোকুল হত্যার চেষ্টা চলছে। আমরা মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তারপরও কেন তারা এসব নিরীহ প্রাণী হত্যা করছে তা বুঝতে পারছিনা।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৩ সপ্তাহে কমপক্ষে ১০-১২টি নিরীহ প্রাণীকে মানুষ হত্যা করেছে। অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটার পর সাধারণত এসব মেছোবিড়াল, চিতা বিড়াল, শিয়াল ও গন্ধগোকুল মানুষের বাড়িঘরের কাছে ও পুকুরপাড়ে আশ্রয় নেয়। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ এসব নিরীহ প্রাণীকে মেছোবাঘ বলে প্রচার করে হত্যা করছে।

গত ৫ জানুয়ারি উপজেলার বগাডুবি গ্রামে একটি শিয়াল কয়েকজনকে কামড় দিলে আতংক দেখা দেয়। অনেক স্থানে মেছোবাঘ আক্রমণ করছে বলে ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা করে বেশ কয়েকটি মেছোবিড়াল, শিয়াল ও সর্বশেষ চিতা বিড়ালটি হত্যা করা হয়।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop