৪:২০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • উন্মুক্ত প্রকৃতিতে বৃক্ষরা ডাল মেলছে মহেশখালী পাহাড়ে
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২১ ৮:২৮ অপরাহ্ন
উন্মুক্ত প্রকৃতিতে বৃক্ষরা ডাল মেলছে মহেশখালী পাহাড়ে
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ: করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ যখন ঘরবন্দি, প্রকৃতি তখন উন্মুক্ত। এ সুযোগে কমেছে দূষণের মাত্রা। নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছে প্রকৃতি। আর রোপিত গাছের ডালপালা মেলছে দেশের এক মাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতেও। দেশে বৃক্ষসম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিবছর দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করা হয়। সারিবদ্ধভাবে রোপিত গাছ বড় হয়ে চেহারা প্রতি সপ্তাহে পাল্টে যাচ্ছে।

ফলে একদিকে যেমন জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গাছ লাগিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। আর সবুজের সমারোহ হয়ে ডালপালা মেলছে রোপিত গাছের পাতা। ধীরে বড় হচ্ছে গাছ। এতে শুধু যে জনগণের ভাগ্যই পরিবর্তিত হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি দেশের পরিবেশ উন্নয়নেও এ বৃক্ষরাজি বিরাট ভূমিকা রাখছে। বৃক্ষরোপণ ও বনায়নে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য সামাজিক বনায়ন সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই বনায়ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ এর অধীনস্থ মহেশখালী রেঞ্জের শাপলাপুর, কেরুনতলী, মুদিরছড়া, দিনেশপুর ও কালারমারছড়া বিটে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প এর আওতায় ২০১৯-২০ আর্থিক সনে বিভিন্ন প্রজাতির ৪৬০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়। ও ২০২০-২১ আর্থিক সনে ৬৭০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয় এবং সবুজ বেষ্টনি প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ আর্থিকসনে স্বল্প মেয়াদী ১০০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়। উক্ত গাছ সবুজ প্রকৃতিতে ভরে উঠছে। তবে এরই মধ্যে শাপলাপুর বনবিটের ধুইল্যাজিড়ি, মিটাছড়ি, মোস্তফা কাটা, মৌলভী কাটা,চাককাটা, জামির ছড়ি, নয়া পাড়া, ষাইটমারাসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় রোপিত গাছ সুন্দয্য বর্ধন দেখে প্রাণ জুড়াবে।

মিশ্র প্রজাতির দ্রুত বর্ধনশীল বাগান, ধীর বর্ধনশীল বাগান, এনরিচমেন্ট বাগান, ষ্ট্যান্ড ইম্প্রুভমেন্ট বাগান, এএনআর বাগান, বেত বাগান ও বাঁশ বাগানসহ সাত ধরনের বাগান সৃজন করা হয়েছে। সোমবার (২২ আগষ্ট) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে পাহাড়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই পাহাড়ীদ্বীপে বনায়ন করা হয়েছে। আর পাহাড়ী এলাকায় সফল বনায়নের ফলে গাছের ডালপালা মেলে সবুজয়ান হচ্ছে।

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম গোলাম মওলা বলেন, ‘পাহাড়ে রোপণ করা গাছে বনবিভাগের লোকজনের পরিচর্যার কারণে গাছের ডালপালা দিন দিন মেলতে শুরু করেছে। আর বৃক্ষরোপণ ও বনায়নে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য সামাজিক বনায়ন সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop