১:৫২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • কেঁচো সার বিক্রি করে দিন বদলেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষাণীদের
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২২ ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
কেঁচো সার বিক্রি করে দিন বদলেছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষাণীদের
কৃষি বিভাগ

কেঁচো সার উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষাণীরা। বাড়ছে নারীদের কাজের পরিধি ও আয়। এতে নারীরা একদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছে । আর অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে এ এলাকার নারীরা এখন আত্মমর্যাদায় বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন।

কৃষাণীদের এই কেঁচো সারের গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষক ও নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে জেলার কৃষকদের চাহিদা পূরণ করছে। সার বিক্রি করে তারা প্রতিমাসে আয় করছেন লাখ টাকা। মাত্র এক বছরের মধ্যে নিজেদের সফল খামারি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। কৃষিণীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে দেখে এখন জেলার অনেক যুবক ও নারীরা বিষমুক্ত এ জৈব সার উৎপাদনে ঝুঁকছেন।

জানা যায়, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ) দিনাজপুরের আর্থিক সহায়তায় রাণীশংকৈল উপজেলার গাংগুয়া গ্রামে জৈব কৃষি চর্চা নারী উন্নয়ন জনসংগঠনের ৩৬ জন নারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গতবছর এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ সংগঠনের সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে কেঁচো সার তৈরির শেড।

ফসলের ক্ষেতে রাসায়নিক সার ব্যবহারে অতিরিক্ত ব্যায় করতে হয় কৃষকদের। আর এই ব্যায় কমিয়ে আনতে কেঁচো দিয়ে তৈরীকৃত সার উৎপাদন শুরু করেন তারা। হাতের নাগালে ভালো মানের সার পাওয়ায় এখন কৃষকরা তা কম দামে ক্রয় করে ফসলী জমিতে প্রয়োগ করছেন। ফলে ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি হচ্ছে।

কৃষক আশরাফ আলী ও রহিমউদ্দিন বলেন, এ বছর কেঁচো সার দিয়ে ধান ও মরিচের আবাদ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

জনসংগঠনের সদস্য কুলসুম আক্তার জানান, সিডিএর সহযোগিতায় গতবছর আমরা ২০টি হাউস তৈরি করি। এ শেড থেকে যে সার উৎপাদন হয় সেগুলো আমরা ১৫-১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এপর্যন্ত আমরা এই শেড থেকে লক্ষাধিক টাকার অধিক কেঁচো সার বিক্রি করেছি।

রহমত আলী নামের এক সদস্য জানান, শেডের ভিতরে অর্থাৎ বাড়িতে কেঁচো সার উৎপাদন যেমন সহজ তেমনি এর চাহিদাও বেশি। এ কাজ থেকে বিনা ঝামেলায় অতিরিক্ত আয় হয়, পাশাপাশি নিজেদের জমিতেও ব্যবহার করছি এ সার। এর সারের ব্যবহারের চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ বিষয়ে সিডিএর মহলবাড়ি ইউনিট ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব বলেন, গোবর, তরকারির খোসাসহ আবর্জনা দিয়ে কেঁচোর মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে আদর্শ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। এগুলো ফসলের জন্য খুবই উপকারী। গতবছর আমরা আমাদের এনজিও থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে এই জনসংগঠনের সদস্যদের টিনের শেডে ২০টি হাউস তৈরি করে দিই। এখন তারা সার উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে আর্থিকভাবে ভালোই স্বাবলম্বী হয়েছে।

এ ব্য্পাারে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, কেঁচো সারটি ফসল উৎপাদনের জন্য অনেক ভালো। এ সার ব্যবহারের খরচও অনেক কম। এছাড়া সারটি দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে এবং কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এতে নারীরা একদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছে আর অন্যদিকে তাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে। আর অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে এ এলাকার নারীরা এখন আতœমর্যাদায় বাচার স্বপ্ন দেখছেন। এ এলাকার নারীরা কেঁচো সার বিক্রিতে আরো ভালো করবে এবং এ ব্যবসায় নারীদের অগ্রগতির পথকে প্রসারিত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এ কৃষিবিদ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop