৪:৪৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • এমবিএ পাশ করে গরুর খামার করে সফল উদ্যোক্তা ফারহাদ
ads
প্রকাশ : মে ২৮, ২০২১ ২:৩৭ অপরাহ্ন
এমবিএ পাশ করে গরুর খামার করে সফল উদ্যোক্তা ফারহাদ
প্রাণিসম্পদ

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে নিজ এলাকায় গরুর খামার গড়ে তুলেছেন কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার লুটেরচর গ্রামের সন্তান ফারহাদ উল্লাহ শিকদার। এতে তিনি যেমন উদ্যোক্তা হয়েছেন, তেমনি কর্মস্থান হয়েছে গ্রামের খেটে খাওয়া কয়েকজন শ্রমিকের।

জানা যায়, তিনি ২০২০ সালে এমবিএ পাশ করেন। বেশ কিছুদিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শুরু থেকেই নিজে কিছু করার মানসিকতা ছিলো তার। আর তাই রাজধানী ছেড়ে নিজ এলাকায় চলে আসেন তিনি। এবং এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেন ”ফার্ম হাউজ এগ্রো” নামে একটি গরু খামার।

এ বছরের শুরুতেই এর অনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। ফার্ম হাউজটিতে বিভিন্ন জাতের ৪৬টি ষাঁড় গরু রয়েছে। তারমধ্যে, শাহীওয়াল, সিন্দি, বলদ, অস্ট্রেলিয়ান ও নেপালী। কমপক্ষে ২ বছর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত লালন পালন করা হবে এসকল ষাড়দের। দেশের বিভিন্ন গরুর বাজার থেকে কমমূল্যে সংগ্রহ করেছে এসকল গরু। দেশীয় খাবার প্রয়োজনীয় ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে নিয়মিত। খামারের সকল গরুই পর্যাপ্ত বয়সের হয়েছে। আসছে কুরবানী ঈদেই এদের বাজারজাত করা হবে বলে জানা গেছে।

হাউজটির পরিচালক সিয়াম আহাম্মেদ জানান, গরু কিনতে গিয়ে আর্টিফেসিয়ালী, ফেট এবং ইনজেকশন দেখেছি। আমরা তুলনামূলক দুর্বল গরু সংগ্রহ করেছি। আমাদের এই খামারের গরু আমরা নিজেরাও খাবো। সে জন্যে, ভালো মানের খাবার পরিবেশন করছি। এবং মাঠের সবুজ ঘাঁস খেতে দিচ্ছি। এখানে হাইব্রিড কোন খাবার বা ইনজেকশন পুস করানো হচ্ছে না। তাই শারীরিক দুর্বল গরুগুলো এখন চমৎকার গঠনে বেড়ে উঠেছে। আমরা আশা করছি আসছে কুরবানী ঈদে এসকল গরু বাজারজাত করবো এবং বাজারমূল্যে বিক্রি করলেও আমরা অধিক লাভবান হবে।

খামারটির উদ্যোক্তা মো. ফারহাদ উল্লাহ শিকদার জানান, প্রধানমন্ত্রী যখন বলছে তরুণদের উদ্যোক্তা হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে। সে লক্ষে দেশের কৃষিখাতে অবদান রাখাতে আমাদের এই উদ্যোগ। দেশে মাংসের চাহিদা মিটাতে আমরা গরু খামারের বিষয়টিই বেছে নিয়েছি। আপনারা জানেন ইন্ডিয়া থেকে গরু না আসলে আমাদের বাজার পূর্ণতা পেতো না। এখন দেশে উৎপাদিত গরুতেই বাজার পূর্ণ হচ্ছে।

মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন সিকদার জানান, আমাদের তরুণরা যখন চাকুরীর পিছনে ছুটছে। তখন মেঘনার তরুণরা উচ্চ শিক্ষা লাভ করে গ্রামে এসে কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। শিক্ষিত তরুণদের এমন উদ্যোগ গ্রাম ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশিদার হচ্ছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop