৩:০০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ডুমুরিয়ায় ক্ষুরা রোগে চার সপ্তাহে শতাধিক গরুর মৃত্যু
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২১ ১:০৬ অপরাহ্ন
ডুমুরিয়ায় ক্ষুরা রোগে চার সপ্তাহে শতাধিক গরুর মৃত্যু
প্রাণিসম্পদ

গত চার সপ্তাহে খুলনার ডুমুরিয়ায় ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরও তিন শতাধিক গরু।

খামারিদের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তারা কোনো সহযোগিতা পান না তারা। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দাবি, ক্ষুরা রোগে সম্প্রতি মাত্র ১২টি গরু মারা গেছে। আর বেশকিছু গরু আক্রান্ত হয়েছে। তবে গরুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি ছিল না তাদের।

জানা যায়, ক্ষুরা রোগে উপজেলার পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম গাজীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভি মারা গেছে। ডুমুরিয়া আইতলা এলাকার শংকর প্রসাদ রাহার ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি গরু মারা গেছে। আরাজী ডুমুরিয়া নারায়ণ পালের একটি গাভি ও একটি বকনা বাছুর, গুটুদিয়া গ্রামের হাফিজ খানের একটি গাভি এবং উপজেলার খলশি গ্রামের ওহিদুল ইসলামের দুটি গাভি মারা গেছে।

একইভাবে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলার ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে, ধামালিয়া, খর্নিয়া, ভান্ডারপাড়া, রুদাঘারা ও রংপুর ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গত চার সপ্তাহে শতাধিক গরু খুরা রোগে মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে আরও তিন শতাধিক বলে জানা যায়।

সদরের গোলনা গ্রামের খামারি খান অহিদুল ইসলাম জানান, তিন সপ্তাহ আগে ক্ষুরা রোগে আক্রান্তু হয়ে তার হাইব্রিড জাতের ৩টি গাভি, একটি বড় বকনা ও ৪টি বাছুর মারা গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকার।

গরুর খামারি খান ওহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম গাজী জানান, খুরা রোগের লক্ষণ হচ্ছে, প্রথমে গরুর গায়ে তাপমাত্রা প্রচণ্ড বৃদ্ধি পায়, মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে, গরুর মুখে ও খুরায় ঘা দেখা দেয়। ফলে আক্রান্ত গরু কোনো খাদ্য খেতে পারে না। এরপর অল্প দিনের মধ্যে ওই গরু মারা যায়। সে ক্ষেত্রে খুরা রোগ প্রতিরোধে গরুকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হয়। প্রাণিসম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শত চেষ্টার পরও আক্রান্ত গরুগুলো বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

খামারি শংকর প্রসাদ রাহা জানান, প্রাণিসম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন পাওয়া মুশকিল। গরুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের অনীহা রয়েছে। বারবার তাদের ডেকেও পাওয়া যায় না।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা সুলতানা বলেন, মূলত ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা নেই। আগে থেকে গরুর খুরা রোগের ভ্যাকসিন দিতে হয়। গরুর বা ছাগলের কোনো সমস্যা হলে চিকিৎক না ডেকে খামারিরা নিজেই চিকিৎকসা দেন। খামারিদের অভিযোগ সঠিক নয়। এ ছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলাটি প্রায় একটি জেলার সমান। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের অফিসে জনবল অপ্রতুল।

ডুমুরিয়া প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে ১ হাজার ২৫২টি হাইব্রিড জাতের গরুর খামার রয়েছে। হাইব্রিড ও দেশি জাতের গরুর সংখ্যা এখানে ১ লাখ ৯০ হাজার। প্রতিদিন এ উপজেলায় প্রায় ৮০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হয়, যা ডুমুরিয়ার চাহিদা মিটিয়ে খুলনা ও যশোর জেলা শহরে বিভিন্ন কোম্পানি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে বিক্রি হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop