১:১১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • তামাক চাষ বন্ধে সরকার খুবই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে: কৃষিমন্ত্রী
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২১ ১০:৩০ অপরাহ্ন
তামাক চাষ বন্ধে সরকার খুবই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

তামাক নিয়ে সরকার খুবই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। তবে পলিসিলেভেলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভবিষ্যতে তামাক ফসল হিসেবে থাকবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ২৪ নভেম্বর,বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভাল আয় আসছে তামাক থেকে। সরকার খুবই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। তবে পলিসি লেভেলে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত, আমরা আস্তে আস্তে তামাক থেকে বেরিয়ে আসব। তামাক এই দেশে ফসল হিসেবে থাকবে না।ভাল আয় আসছে তামাক থেকে। সরকার খুবই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। তবে পলিসি লেভেলে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত, আমরা আস্তে আস্তে তামাক থেকে বেরিয়ে আসব। তামাক এই দেশে ফসল হিসেবে থাকবে না।

সারে ভর্তুকি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেলেও এখনই দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টার ওপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে চাই, যে সারের দাম ২৫০, ২৩০-২৭০ ডলার ছিল, সেটা এখন ৮০০-৯০০ ডলার। চারগুণ বেড়েছে।

‘আমরা সারে ৯০০ কোটি টাকা দেই সাবসিডি (ভর্তুকি)। এটা এবার মনে হয় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত আমাদের বলেছেন, উনি সারের কোনো দাম বাড়াবেন না।’সম্প্রতি সরকার ডিজেলের যে দাম বৃদ্ধি করেছে তার প্রভাব কৃষিখাতে পড়বে কি না, জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রভাব তো অবশ্যই পড়বে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এমনি আমাদের কৃষকরা নানান সমস্যায় জর্জরিত। পিক সিজনে তারা ফসলের দাম পায় না।

তামাক চাষের ফলে কৃষি জমি উর্বরতা হারাচ্ছে ও মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, তাই তামাক চাষ বন্ধে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তামাক চাষে একদম উৎসাহিত করি না। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলো, এটাকে নিরুৎসাহিত করা। তারপরও আমাদের এখনও কিছু মানুষ তামাক খায়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, তামাক নিয়ে সরকার খুবই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। তবে আমি বলি আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত পলিসিলেভেলে আমরা আস্তে আস্তে তামাক থেকে বেরিয়ে আসবো। এক সময় তামাক এদেশের ফসল হিসেবে থাকবে না। ইদানিং দেখা গেছে জাপানের মতো একটি দেশ, যারা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে মানবিক দিকগুলো নিয়ে অনেক কাজ করেন এবং নীতিতে খুবই অটল, তারা এদেশে এসে তামাকখাতে বিনিয়োগ করছেন। যাতে রপ্তানি করা যায়। ফলে একটা ভালো আয় আসছে তামাক থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী,  এসিআই এগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, জেমকন গ্রুপের ডিরেক্টর কাজী ইনাম আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবল অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop