১:২২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ধানের বাজার চড়া, সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২২ ১:৩৪ অপরাহ্ন
ধানের বাজার চড়া, সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা
এগ্রিবিজনেস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বিওসি ঘাটে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের হাট। এ হাটে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে ধান। মূলত হাটে ধানের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। এর ফলে বেচাকেনাও কমেছে। এতে করে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কারণ ধানের দাম বাড়লেও যে দরে সরকার চাল কিনছে তাতে করে চালকল মালিকরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। ফলে চাল সরবরাহ কম করছেন তারা। এছাড়া কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত ধান না থাকায় তারাও সরকারের কাছে ধান বিক্রি করছেন কম। হাটে নতুন মৌসুমের ধান না আসা পর্যন্ত ধানের বাজার চড়া থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চালকল মালিকরা বলছেন, হাটে ধানের দাম মণ প্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে করে ধান থেকে চাল তৈরিতেও খরচ বাড়ছে। ফলে সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করতে গিয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে বিওসি ঘাটে নিয়ে আসেন বেপারিরা। এই হাটকে ধানের মোকামও বলা হয়ে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিন শতাধিক চালকলে ধানের যোগান দেয় এই মোকাম। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোকামে ধান বেচাকেনা চলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান বেচাকেনা হয় বিওসি ঘাটে।

বর্তমানে হাটে গড়ে প্রতিদিন ২০ হাজার মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বিআর-২৮ জাতের ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১৩৬০ থেকে ১৩৭০ টাকায়, বিআর-২৯ জাতের ধান প্রতি মণ ১২১০ থেকে ১২২০ টাকা এবং বিআর-৩৯ ও বিআর-৪৯ জাতের ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১০৮০ থেকে ১১০০ টাকা দামে। প্রত্যেক জাতের ধানেই মণ প্রতি গড়ে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ধানের বাজার চড়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে প্রতি অর্থবছরে জেলার চালকলগুলোর সঙ্গে চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি করে খাদ্য বিভাগ। এবারও জেলার ১৭৪টি চালকলের সঙ্গে ১৪,২৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। আর জেলার সবকটি উপজেলার ১ হাজারেরও বেশি কৃষকের কাছ থেকে ২,৭৩৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি চাল নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। আর ধান কেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭ টাকায়।

গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১,৩৬৪ মেট্রিক টন ধান এবং ৯,১৮৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। এখন ধানের মৌসুম না হওয়ায় কৃষকের কাছেও পর্যাপ্ত ধান নেই। এর ফলে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। এছাড়া হাটে ধানের দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চালকল মালিকরা। বেশি দামে ধান কিনে চাল তৈরিতেও খরচ পড়ছে বেশি। সেজন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহ করতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আশুগঞ্জ উপজেলার হাজী দানা মিয়া চালকলের ধানের ক্রেতা চাঁন মিয়া জানান, জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে ধানের দাম বেড়েছে। মোকামে ধানের আমদানি কম। এ কারণে কোনো ধানে মণ প্রতি ৩০ টাকা আবার কোনো ধানে ৪০ টাকা দাম বেড়েছে। নতুন মৌসুমের ধান হাটে আসার পর বাজারদর স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব বলেন, ‘ইতোমধ্যে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৬৫ শতাংশ আর ধান সংগ্রহ হয়েছে ৫০ শতাংশ। কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত ধান না থাকায় তারা আমাদের কম ধান দিচ্ছেন। কারণ এখন ধানের মৌসুম নয়, সেজন্য ধানের দামও ঊর্ধ্বগতি। তবে অন্তত ৮০ শতাংশ ধান সংগ্রহ হবে বলে আশা করছি। আর চালকল মালিকরা যেহেতু আমাদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন, তাই তাদের লাভ-লোকসান যাই হোক চাল দিতে হবেই। আশা করছি আমাদের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে’।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop