৪:০০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • চায়না মুরগি পালনে তাক লাগিয়েছেন ফিরোজ-সুফি দম্পত্তি
ads
প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২১ ৫:৩৬ অপরাহ্ন
চায়না মুরগি পালনে তাক লাগিয়েছেন ফিরোজ-সুফি দম্পত্তি
পোলট্রি

৮৪টি মুরগি দিয়ে এখন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মুরগির মালিক একসময়ের একসময়ের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম। চায়না মুরগির জাত শিল্কি, কাদানাদ, হুং ইয়াং চি, হো ইয়াংচি, চ কো ছাড়াও বিভিন্ন জাতের মুরগি রয়েছে তার খামারগুলোতে। চায়না থেকে মুরগি এনে বাংলাদেশের মুরগির সঙ্গে এক খামারে রেখে লালন-পালন করছেন ফিরোজ-সুফি দম্পত্তি।

ফিরোজ আলম লিংকন মূলত একজন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যবসায়ী। চায়নাদের সাথে ব্যবসা করতে গিয়ে পরিচয় সে দেশের নাগরিক স্কুল শিক্ষক ওয়াং লু ফিং সুফির সঙ্গে। একসময় তারা বিয়ে করেন। এরপর দুজনে মিলে বাংলাদেশে চলে আসেন। ফিরোজ আলমের বাড়ি গাইবান্দা জেলার সদর উপজেলার পলাশপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামেরই মো. মকবুল হোসেন ও শেফালি সরকার দম্পতির প্রথম সন্তান তিনি।

জানা যায়, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের নগরভেলা গ্রামে কিছু জমি ভাড়া নিয়ে প্রথম শখের বশে সেখানে এস এস রেয়ার ব্রিজ অ্যান্ড এগ্রো ফার্ম শুরু করেন। চায়না থেকে ডিম এনে তা ইনকিউবেটরের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় ৮৪টি মুরগি পান। সেখান থেকে এখন তাদের খামারে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মুরগি।

নগরভেলার মুরগির খামার ছাড়াও রাজধানীর উত্তরা এলাকার উত্তরখানে আরও তিনটি খামার গড়ে তুলেছেন। ওই খামারগুলোর একটিতে ডিম পাড়ানো হয়, একটিতে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ডিম ফোটানো হয় এবং অন্যটিতে বাংলাদেশি এবং চায়না মুরগির মধ্যে ক্রস করানোর প্রক্রিয়া করানো হয়। যাতে দুই দেশীয় মুরগির মাধ্যমে নতুন একটি জাত উদ্ভাবন করা যায়। এতে বাংলাদেশের মুরগির স্বাদটা ঠিক রেখে চায়না মুরগির গ্রোদটা রাখা যায়। তাতে কম সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যাবে।

ফিরোজ আলম লিংকন জানান, স্ত্রী ওয়াং লু ফিং সুফি শখ করে কিছু মুরগির ডিম চায়না থেকে এদেশে নিয়ে আসেন এবং সেগুলো ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ফুটানো হয়। পরে সেই চায়না মুরগীর বাচ্চাগুলো লালন-পালান করতে থাকেন। শখ করে ৮৪টি চাইনিজ মুরগির ডিম ইনকিউবেটরের মাধ্যমে বাচ্ছা ফোটানোর পর এখানে এখন সাড়ে তিন সহাস্রাধীক মুরগি। তবে হো ইয়াংচি মুরগির গ্রোদটা খুব ভালো, অনেকটা পাকিস্তানি মুরগির মতো। হো ইয়াংচি নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। সেই ডিম তাদের নিজস্ব ইনকিউবেটরে ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরি করছে। যেখানে তারা বেশ ভালো সুফল পাচ্ছেন। মটালিটির দিত থেকে হো ইয়াংচি বাংলাদেশের মুরগির চেয়ে এক শতাংশেরও কম। তাই এটাকে আরও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে যারা মুরগি পালন করতে আগ্রহী, যারা কৃষিকে ভালোবাসে বা কৃষি নির্ভির ব্যবসা করতে চান, সেই বেকার যুব সমাজকে কাজে লাগাতে চান তিনি।

ফিরোজ জানান, বাংলাদেশের মুরগি ৪ মাসে ৮শ/৯শ গ্রাম হয়ে থাকে, আর চায়না মুরগি দুই মাসের মধ্যে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের যে পিওর দেশি মুরগির জাত, যেটা বাংলাদেশে বেশি দামে বিক্রি হয়, সেটা চায়না মুরগির সঙ্গে ক্রস করে দুটোর যদি একটি জাত বের করা যায়, তাহলে সেটার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটা বাংলাদেশের মুরগির চেয়ে ভালো হবে। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে বাংলাদেশি মুরগি লালন-পালন করতে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। সেক্ষেত্রে দুটোর ক্রস যে জাত সৃষ্টি হবে, তা পালনে অনেকেই আগ্রহী হবেন। কারণ, এটা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকতে পারে।

ফিরোজ আলমের স্ত্রী ওয়াং লু ফিং সুফি জানান, তিনি আগে একজন শিক্ষক ছিলেন। আর যেহেতু তিনি বাংলাদেশে এসেছেন, তাই চেষ্টা করছেন কৃষি বিষয়ের উপর নিজেকে আত্মনির্ভর করা যায় কিনা। তবে তার এ ইচ্ছাটা নিতান্তই শখ থেকেই তৈরি হয়েছে। যেহেতু তিনি এ লাইনে একেবারেই নতুন, তাই কোনো মুরগি অসুস্থ হলে বা কোনো মুরগি মারা গেলে সেই মুরগি তিনি নিজেই ময়নাতদন্ত করেন। পরে সেই বিষয়গুলো নিয়ে অনলাইনে সার্চ দেন। চায়নায় যে ওষুধটা দিলে এটা ভালো হয়, সেই ওষুধ সম্পৃক্ত কোনো গ্রুপ বাংলাদেশে আছে, তা দিয়েই তিনি ব্যবস্থা নেন। মোটামুটি সেই ওষুধ খাওয়ালেই মুরগি ভালো হয়ে যায়। যেহেতু এটা চাইনিজ মুরগি, চায়নার পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত, তাই চায়নার সাথে মিল রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত করতে।

চাইনিজ দম্পতির বিভিন্ন জাতের মুরগির খামারের ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান জানান, আমি ইতোমধ্যে খামারটি পরিদর্শন করেছি। এখানে চায়না শিল্কি জাতের যে মুরগিটা আছে, সেটা খুবই সম্ভাবনাময়। খুব কম সময়েল মধ্যো ডিম দেয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বড় ও ওজন বৃদ্ধি হয়। যেহেতু একেবারেই চায়না ওই জাতের মুরগি পালন এদেশে নতুন, তাই রোগ-বালাইয়ের ব্যাপারে স্থানীয় প্রাণিসম্পাদ বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান কামরুজ্জামান ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop