৩:২৯ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • মাটি ছাড়া চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন
ads
প্রকাশ : জুন ১৩, ২০২১ ৮:১৫ পূর্বাহ্ন
মাটি ছাড়া চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন
কৃষি গবেষনা

মাটি বিহীন হাইড্রোপনিক সবজি চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। সম্প্রতি কৃষি গবেষণার বিজ্ঞানীরা এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এতে কমবে চাষাবাদের খরচ, পাবে জিংক সমৃদ্ধি পুষ্টিকর খাদ্য। বাড়বে কৃষি উদ্যোক্তা, সৃষ্টি হবে বাজার, ফলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ১৪ ধরনের সবজি চাষ করা যায়।

হাইড্রোপনিক বা মাটি বিহীন এই পদ্ধতিতে সারা বছরে চাষ করা যায়। এটি মূলত নারিকেলের ছোবরা বিভিন্ন টবের মধ্য রেখে, চারা বপন করে নিউট্রেশন নিয়মিত নলের সাহায্যে প্রতিটি চারার গোড়ায় খাদ্য সরবরাহ করে থাকে। এতে পুষ্টিকর সবজি উৎপাদন করতে সাহায্য করে।

এখানে মূলত মোবাইলের অ্যাপসের মাধ্যমে গাছের সকল আন্ত:পরিচর্যার কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই পরিচর্যার জন্য বাড়তি কোন লোকবল প্রয়োজন হয় না। ফলে চাষের জন্য বাড়তি খরচের সুযোগ নেই। এই হাড্রোপনিক চাষ বাড়ীর ছাদে, পাহাড়ে অথবা যেসব এলাকায় পানির অভাব সেখানে চাষ করা যায়। নেট হাউজে অ্যাপস ভিত্তিক হাইড্রোপনিক কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই চাষ করা সম্ভব। বাগানের তাপমাত্রার আর্দ্রতা বেড়ে গেল সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃষ্টি দিয়ে ঠাণ্ডা করে দিবে। গাছে কোন সমস্যা বা খাবার প্রয়োজন হলে মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠাবে। মোবাইল অ্যাপস সাথে সাথে সেটি সমাধান করে দিবে। বাগানে না এসেও এই পদ্ধতিতে চাষ করা যায়।

বাগানে সব সময় অ্যাপসটি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পরিচর্যা করায় সবজি, ফল খুব সুস্বাদু হয় এবং বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। হাইড্রোপনিক চাষের সকল ডিভাইস, বুকলেট, প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দিবে জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

উদ্ভাবক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খায়রুল মাজেদ জানান, অল্প খরচে এই পদ্ধতিতে চাষ করে অধিক লাভ করা যায়। হাইড্রোপনিক চাষের খাদ্য নিরাপদের কারনে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে করোনা কালীন সময় শিশুদের জন্য বাড়তি জিংক সমৃদ্ধি সবজি পেতে মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে।

জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মঞ্জুরুল কাদির জানান, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে অল্প জায়গাতে চাষ করা যায়, এখানে কীটনাশকের পরিমাণ ও পোকার আক্রমণ কম থাকে। এই চাষ পদ্ধতিকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop