৬:৪১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আশ্রয়নের রহিমার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীকে নিজ আঙিনার সবজি খাওয়ানো
ads
প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
আশ্রয়নের রহিমার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীকে নিজ আঙিনার সবজি খাওয়ানো
কৃষি বিভাগ

নদীর পাড়ে আধাপাকা ঘর। সারি সারি ঘরগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই ঘরগুলোতে থাকে গৃহহীন দরিদ্র মানুষগুলো। যাদের মধ্যে একজন রহিমা আক্তার। সহায় সম্বল হারিয়ে এখানেই বসবাস তার। ঘরের পাশেই করেছেন নানান রকম সবজির চাষ। সবুজের সমারোহে পুরো আঙ্গিনা যেন সাজছে নতুন করে। এই যেন এক অন্যরকম আমেজ। এই সবুজের তাজা সবজি প্রধানমন্ত্রী দিতে চান রহিমা আক্তার। তার জন্য তাঁর দীর্ঘ অপেক্ষা।

রহিমা আক্তার জানান, নদীতে সব ভেঙে নিয়ে গেলে আমরা সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ঘর পেয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা এখন বেশ ভালো আছি। নিজেরা হাঁস-মুরগী, ছাগল পালন করছি। আর বাড়ির আঙিনায় যতটা সবজি হয়, তা সবাই মিলে ভাগ করে খাই। তবে কষ্টও কিছু আছে। হাসপাতাল অনেক দূরে, বাচ্চাদের জন্যও কাছে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। আমরাও তো চাই লেখাপড়া শিখে আমাদের সন্তানরা বড় অফিসার হোক। এছাড়া মসজিদ, কবরস্থানসহ আরও কিছু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সরেজমিনে জয় বাংলা আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে এই মানুষগুলোকে। এর সঙ্গে আছে রান্নাঘর ও টয়লেট। আঙ্গিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গাও আছে বেশ খানিকটা। এছাড়া নদীর পাড়ে হওয়ায় অনেকেই পালন করেন হাঁস।

এখানে আশ্রয় পাওয়া পরিবারগুলোর অধিকাংশ পুরুষরাই যেখানে পেশায় জেলে, সেখানে বাড়ির নারীরাও নিজের প্রচেষ্টায় এগিয়ে নিচ্ছেন সংসার আর সন্তানদের। তাই দেখে অন্য ঘরহীন মানুষও আশা জাগায় মনে- তাদেরও একদিন এমন ঘর হবে! আর সেই ঘর উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এমনই স্বপ্ন দেখা একজন নারী রেণু বেগম। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই নারী বলেন, ‘এখানে আমার বোনের মেয়ে থাকে, ওর নাম বিবি জয়নাল। আমার ঘর তো নদীতে ভাসায়ে নিয়ে গেছে বাজান, তাই আমিও আবেদন করেছি এমন একটা ঘরের জন্য। আমারও এমন একটা সুন্দর ঘর হবে একদিন, এইটাই স্বপ্ন। ’

সার্বিক বিষয়ে কমল নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, যে মানুষগুলো নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন, এখন ঘর পেয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। আমরা তাদের জন্য এখানে কবরস্থান করার চিন্তা করছি। আমরা জায়গা রেডি করেছি। আমরা এখানে একটা মসজিদ করে দেব। তাদের মধ্যে এখন একটা কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট হচ্ছে। এখানে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, আমরা খোলা একটু জায়গা রেখেছি, যেন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো তারা এখানে করতে পারে। আমরা উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন নিয়মিত তাদের দেখাশোনা করছি, খোঁজ-খবর রাখছি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop