১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • পঁচাত্তরের শত্রুরা এদেশে এখনো সক্রিয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২১ ৮:২৯ অপরাহ্ন
পঁচাত্তরের শত্রুরা এদেশে এখনো সক্রিয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সাথে জড়িত শত্রুরা এখনো সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

বুধবার (০৪ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যোষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের প্লট যারা রচনা করেছিল, তারা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এদেশ থেকে এখনো বিনাশ হয়ে যায়নি। কখনো ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে কখেনো তারা স্বাধীন ফোরাম করে এদেশে থাকে। পঁচাত্তরের শত্রু যারা, তারা একাত্তরের শত্রু, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী এবং তারাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারাই শেখ কামালকে হত্যা করেছে। আমরা সে মানুষগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারি নি।”

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন বিধায় এতো প্রতিকূলতার ভেতরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে এ জাতীয় হত্যাকান্ডের বা ঘটনার বিচার কোনদিন হবে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘গো অ্যাহেড’ বলে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের শুধু ষড়যন্ত্রকারীই নন, হুকুমদাতা। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে নতুন করে একটি সম্পূরক তদন্ত করে সে রিপোর্ট রেকর্ডে রাখা উচিত। এ বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার, যে তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের নাম প্রকাশ করবে”।

তিনি আরো বলেন, “শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য সম্পদ ছিলেন। তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা না হলে এ দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় তিনি বিশাল অবদান রাখতে পারতেন। শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।”

তিনি আরো যোগ করেন, “১৯৭৫ সালের খুনিদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও স্বজনরা। কারণ তারাই হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। খুনিরা ভেবেছিল তাদের মেরে ফেলতে পারলে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে মেরে ফেলা যাবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো হত্যাকান্ডেরে নজির পৃথিবীর কোথাও নেই”।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান এমপি। এছাড়া আরো অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সহসভাপতি অরুণা বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক তারিন জাহান, শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop