৫:০৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • কলাপাড়ায় তরমুজের ফলন ভালো হলেও শঙ্কায় চাষিরা
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২১ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়ায় তরমুজের ফলন ভালো হলেও শঙ্কায় চাষিরা
কৃষি বিভাগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে মৌসুম ছাড়া বারি-১ ও বারি-২ জাতের উদ্ভাবিত তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন করেছে কুমিরমারা গ্রামের তিন তরমুজ চাষি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিন্সটিটিউটের প্রাথমিক প্রদর্শনী উৎপাদন হিসেবে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে এই প্রথম জাকির গাজী, ওমর ফারুক ও হান্নান গাজী নামে তিন কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে মৌসুমী তরমুজ চাষ শুরু করেন।

কুমিরমারা গ্রামের তরমুজ চাষি ওমর ফারুক জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের সহযোগিতায় এই প্রথম আমি ৬৬ শতাংশ জমিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করি। শুরু থেকে গাছের বেড়ে ওঠা, ফল ধারণ ও ফলের বেড়ে উঠা সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। অল্পকিছু স্থানের তরমুজের অপরিপক্কতা আসলেও ৯০ শতাংশ তরমুজের বয়স মাত্র ২১ দিন তার মধ্যেই গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছগুলো মরতে শুরু করেছে।

তরমুজ চাষি জাকির গাজী জানান, আমরা নীলগঞ্জের চাষিরা এই প্রথম প্রায় একশ শতাংশ জমিতে মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করি। আমাদের এই ইউনিয়নে সর্বমোট ১২টি স্লুইস গেট রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে ৮ টি স্লুইসের গেট নষ্ট তাই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই নিয়ে আমরা কৃষকরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি গেটগুলো সংস্কার করার জন্য কিন্তু কেউ দৃষ্টিপাত করে না। এইবার আমরা কমপক্ষে আট-দশ লাখ টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করতে পারতাম কিন্তু এখন খরচও উঠবে না।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, আমরা প্রতিনিয়তই তাদেরকে তদারকি করে আসছি, তরমুজ গাছগুলো ছোট থাকলে এই জলাবদ্ধতায় কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু এখন তরমুজের বয়স ২১-২২ দিন, এই মুহূর্তে তরমুজগুলো অপরিপক্ক তাই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার উপরে চীন, জাপান, থ্যাইল্যান্ড ও ভারত থেকে তরমুজের বীজ আনতে হয়।

আমরা এই বীজগুলো দেশে উৎপাদন করার জন্য ২০১৪ সাল থেকে গবেষণা শুরু করি। ২০২০ সালের জুলাই মাসে এগুলো অবমুক্ত করতে সক্ষম হই, এই বছরও জেলার বেশ কিছু স্থানে আমরা নিজেরা মৌসুম ছাড়া তরমুজের বীজ থেকে চারা করি। পরে চারাগুলোকে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেই বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop