১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন
ads
প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২২ ৭:২৭ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন
কৃষি বিভাগ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাতে প্রবল বর্ষণ ও দমকা বাতাসে বিভিন্ন স্থানে রোপা আমন ও সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় সব আমনখেতের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জ : সিত্রাংয়ের প্রভাবে দিনভর প্রবল বর্ষণ ও দমকা বাতাসে উঠতি রোপা আমন ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা-আধাপাকা রোপাআমন ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার খোলা বাজারে প্রভাবসহ দাম বেড়েছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর রোপা জমির আমন, বীজতলা, চীনাবাদাম, বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ কাঁচামরিচের ক্ষতি হয়েছে।

সদর উপজেলার শিয়ালকোল এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ, ঘোড়চরা এলাকার সবজিচাষি হারুন অর রশিদ জানান, দমকা বাতাস ও বৃষ্টিতে জমির ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজি হেলে পড়েছে; এতে আমরা ক্ষতির আশঙ্কা করছি। দু-এক দিনের মধ্যে জমির পানি না নামলে বড় ধরনের ক্ষতির কথা তারা জানান।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (সংযুক্তি) শামিনুর ইসলাম শামীম জানান, মাঠ পর্যায়ে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : ফুলবাড়ীতে বৃ?ষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে শত শত হেক্টরের আমনখেত হেলে পড়েছে। আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষ?তি হ?য়ে?ছে। টানা দুই দিনের হালকা-বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে উপজেলার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে ঘরবাড়ি গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি না হলেও উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী সদর, কাশিপুর, ভাঙ্গামোড় ও বড়ভিটা ইউনিয়নের শীষ বের হওয়া শত শত বিঘা জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়ে আমনচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শুধু আমন চাষি নয়, শাকসবজিসহ আগাম শীতকালীন সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন। হঠাত্ বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৩৬০ হেক্টর আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে।

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : সোমবার বিকাল থেকে শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। উপজেলা জুড়ে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার ইটাকুরি দোলা, হিন্দুর ডাবরী কানুরাম, পুটিকাটা দোলা, কিসামত পুনকর, চাঁন্দামারী, হরিশ্বরতালুক, ডাংরাহাট, মনিডাকুয়া, সোমনারায়ণসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের পরে মাঠ ধানগাছ মাটিতে লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে আছে। কথা হয় কৃষক ফরিজল হক, হাবিব, জছিজল, ফকর উদ্দিনসহ আরো অনেকের সঙ্গে। সবাই বলেন, এবার আবাদ খুব ভালো হয়েছিল, বৃষ্টি না থামলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আকতার জানান, এই ঝড়ে ২৪০ হেক্টর জমির রোপা আমন এবং চার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালাই (জয়পুরহাট) : কালাইয়ে আমন ধান ও শীতকালীন আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এলাকার বহু স্থানে কাঁচা-পাকা ধান কাদামাটির সঙ্গে লেপ্টে গেছে।

উপজেলার রোড়াই গ্রামের কৃষক আব্দুল রউফ বলেন, এবার ৭ বিঘা জমিতে কাটারি জাতের ধান রোপণ করেছি। ধানগাছে যে শীষ এসেছিল, তাতে ফলনও খুব ভালো হবে বলে মনে হয়েছে। অসময়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি ও বাতাসে আমার বেশির ভাগ ধানগাছ মাটিতে পড়ে গেছে।

কালাই উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলায় এবার আমন মৌসুমে ১১ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে আমন-ধান চাষাবাদ হয়েছে এবং ৫৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্য কৃষকেরা প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করেছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কিছু কিছু স্থানে প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির পাকা ও কাঁচা ধানের গাছগুলো হেলে পড়েছে। তবে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। ইত্তেফাক

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop