১২:৩৫ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সারের দাম বাড়ায় বিপাকে কৃষক
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
সারের দাম বাড়ায় বিপাকে কৃষক
এগ্রিবিজনেস

কৃত্রিম সংকটে নন-ইউরিয়া সারের দাম বাড়ায় আলুর আবাদ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন রংপুরের কৃষকরা।খুচরা পর্যায়ে টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের ৫০ কেজির বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়ার অভিযোগ করছেন কৃষকরা। যদিও সরকার নির্ধারিত দামে সার বিক্রি নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদারের কথা বলছে কৃষি বিভাগ।

অসময়ের বন্যা আর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে এবার আমন ধান উঠেছে সপ্তাহ দু-এক পর। বোরো-মৌসুম আসার আগেই আলুর আবাদ ঘরে তুলতে এমনিতেই ধাওয়া করছে সময় স্বল্পতা। তার ওপর খুচরা বাজারে নন-ইউরিয়া সারের বাড়তি দাম বিড়ম্বনায় ফেলেছে আলু চাষিদের।

সারের ৫০ কেজির বস্তার সরকার নির্ধারিত মূল্য ইউরিয়া ৮০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ১০০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করার কথা থাকলেও মানছে না ব্যবসায়ীরা।

৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপির সরকার নির্ধারিত দাম ১ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু কৃষকদের কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।

অন্যদিকে ৮০০ টাকার ডিএপি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকা। ৭৫০ টাকার এমওপি ১ হাজার ১০০ টাকাতেও না মেলার অভিযোগ করেছে  কৃষকরা।

এদিকে চলতি মাসের রংপুর জেলার মজুত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া রয়েছে ৩ হাজার ৩৬ মেট্রিক টন, বাফার গুদামে রয়েছে ৯ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন। এ ছাড়া টিএসপি ডিলার পর্যায়ে রয়েছে ৯ হাজার ৭৭৬ মেট্রিক টন, বাফার গুদামে রয়েছে ৩ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন, ডিএপি ডিলার পর্যায়ে রয়েছে ৩ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন, বাফার গুদামে ৬ হাজার ২৬৬ মেট্রিক টন, এমওপি ডিলার পর্যায়ে রয়েছে ৫৮৬ মেট্রিক টন, বাফার গুদামে রয়েছে ২২১ মেট্রিক টন।

তবে সংকটের কথা না মানলেও পরিবহন ধর্মঘট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টির কথা স্বীকার করছে ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন। আর পর্যাপ্ত বরাদ্দের পরও দাম বাড়লে মনিটরিং জোরদারের হুঁশিয়ারি কৃষি বিভাগের।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মওলা বলেন, ‘আমরা এটিকে সংকট বলতে চাচ্ছি না। মূলত সরবারহ বিঘ্ন ঘটার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

এ ছাড়া রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘ডিলারের দোকানে দোকানে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা অবস্থান করছে। কোনোভাবেই যাতে ডিলাররা সারের অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে এবং সরকার নির্ধারিত দামেই যাতে সার বিক্রি হয় সেদিকে আমরা কঠোর দৃষ্টি রাখছি।’

চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে এবার ৯৭ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৬ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষমাত্রা স্থির করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে সার সংকট এবং সারের মূল্যবৃদ্ধিতে লক্ষ্যমাত্রা আদৌ অর্জন করা যাবে কি না সেটিই এখন শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop