৭:২২ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আত্রাইয়ে দেশি প্রজাতি মাছ সঙ্কটে শুঁটকি চাতাল
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
আত্রাইয়ে দেশি প্রজাতি মাছ সঙ্কটে শুঁটকি চাতাল
মৎস্য

উত্তরের মৎস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে দেশি প্রজাতি মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে শুঁটকির ভরা মৌসুমেও শুঁটকি তৈরিতে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। এই পেশার সঙ্গে জড়িতদের জীবন ও জীবিকায় পড়েছে বিরুপ প্রভাব। ফলে ভালো নেই আত্রাইয়ের শুঁটকিপল্লী।

অবৈধভাবে মৎস্য আহরণের ফলে ক্রমেই কমতে শুরু করেছে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা। মৌসুমের শুরুতেই শুঁটকি তৈরির জন্য সাজ-সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হলেও মাছের অভাবে সেগুলো এখন শূন্য ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অন্যান্য বারের মত এবারে এলাকায় তেমন বন্যা না হওয়ায় নদী ও খাল বিলের পানি কমে যাওয়ায় যে সময় দেশি মাছে বাজার সয়লাব থাকার কথা সে সময় দেখা মিলছে না দেশি মাছের। ফলে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

আত্রাই উপজেলায় প্রতিবছর প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস থেকে শুঁটকি তৈরি শুরু হয়, চলে পৌষ-মাঘ মাস পর্যন্ত। এসময় টা ব্যস্ত সময় পার করেন শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। শুঁটকি তৈরি ও বাজারজাত করে যে আয় হয় তা দিয়ে সারাবছর চলে যায় ব্যবসায়ীদের।

আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামটি মূলত শুঁটকির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আত্রাই আহসানগঞ্জ রেললাইনের দুইপাশেও কেডিসি সংলগ্ন এলাকায় মাচাতে শুঁটকি মাছ শুকানো হতো। কিন্তু এ বছর মাছের অভাবে অধিকাংশ মাচা ফাঁকা পড়ে আছে।

শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের উত্তরের জেলা সৈয়দপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, জামালপুর ও ঢাকায় সরবরাহ হয় নওগাঁর আত্রাইয়ের শুঁটকি। তবে প্রধান বাজার ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য। এই শুঁটকি প্রথমে সৈয়দপুর যায়। এরপর সেখান থেকে ট্রেনযোগে রপ্তানি করা হয় ভারতে। তবে গতবছর বন্যা না হওয়ায় এবং খাল-বিলের পানি শুকিয়ে আসায় দেশীয় মাছের উৎপাদন কমে গেছে। এতে শুঁটকি উৎপাদন নিয়ে হতাশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শুঁটকি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় পুঁটি, টাকি ও খলিসা মাছ। এক মণ পুঁটি শুকিয়ে ১৫ কেজি, চার মণ টাকি থেকে এক মণ এবং তিন মণ খলিসা মাছ শুকিয়ে এক মণ শুঁটকি হয়। বর্তমানে শুঁটকি ছোট পুঁটি ১৫০ টাকা, বড় পুঁটি ৪০০ টাকা, টাকি ৪০০-৪৫০ টাকা এবং খলিসা ২০০-২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবারে বন্যা না হওয়ায় নদী ও খাল-বিল প্রায় পানি শূন্য হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে দেশীয় প্রজাতি মাছের তীব্র সংকট। ফলে বাজারে মাছ কম কিন্তু মূল্য বেশি হওয়ায় শুঁটকি তৈরিতে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মনে নেই আনন্দ। তাদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে গত বছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও মা মাছ শিকার থেকে জেলেদের বিরত থাকতে হবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop