৯:৩৮ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • করোনাকালীন সময়ে বাকৃবির ৪৭৭ গবেষণা সম্পন্ন
ads
প্রকাশ : মে ২৯, ২০২১ ৫:১৭ অপরাহ্ন
করোনাকালীন সময়ে বাকৃবির ৪৭৭ গবেষণা সম্পন্ন
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) ‘বাংলাদেশে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি বিষয়ক গবেষণার রুপান্তরকরণ’ শীর্ষক দু‘দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্ভোধন হয়েছে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় ৪৭৭টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপিত হয়। এসময় এইচ-ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে ১৭জন গবেষককে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান করা হয়।

এছাড়াও কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামারি পর্যায়ের ৬ জন উদ্যোক্তাকে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০২১’ প্রদান করা হয়।

বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে র্ভাচুয়াল কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক শামসুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির বৃহৎ ভ‚মিকা রয়েছে। দেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনামতে কৃষির মোট প্রবৃদ্ধি চার শতায়শ প্রয়োজন হলেও বর্তমানে আছে ৩.২ শতাংশ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে জাতিসংঘ দূর্ভিক্ষের আশংকা করলেও আমাদের দেশের কৃষি দ্রব্যমূল্যস্ফীতি সীমাতিক্রম পর্যন্ত করেনি। এটা কিস্তু বড় সফলতা আমাদের জন্য। তবে কৃষির অর্থনৈতিক স্থীতিশীলতা ছাড়া জাতীয় অর্থনৈতিক স্থীতিশীলতা সম্ভব নয়। আর এজন্য কৃষিতে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন। কৃষিখাত বাজেটের ৫ শতাংশ কৃষি গবেষণার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে যার পুরোটাই ব্যয় হওয়া প্রয়োজন।

প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা বড় চালেঞ্জ। আগে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ২৮শতক। বর্তমানে তা কমে ১০শতকে দাঁড়িয়েছে। মাথাপিছু এই ১০ শতক জমি থেকেই সাড়ে ১৬কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি বিজ্ঞানীদের অংশীদার হতে হবে। এই সংগ্রামে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কৃষিবিজ্ঞানীদের সারথী হতে হবে। ফসলের অধিক উৎপাদনশীল উন্নত জাত, উন্নত হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগলের জাত এবং উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিতে হবে। তাহলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য যে, ১৯৮৪ সালের ৩০ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত বাউরেস থেকে এপর্যন্ত ২৮২০টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop