কৃষিপণ্যে বছরে রপ্তানী আয় শত কোটি ডলার
কৃষি বিভাগ
দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন আশা জাগাচ্ছে কৃষিজাত পণ্য। পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে এই খাতের রপ্তানি আয়। গত অর্থ বছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১০২ কোটি ডলার। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্দরে পণ্য পাঠানোয় জটিলতা, উৎপাদিত পণ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ এর ব্যবস্থা না থাকা, কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে শূল্ক ছাড়সহ প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার অভাব। এসব বাধা দূর হলে, আগামি দুই থেকে তিন বছরে কৃষি পণ্য রপ্তানী খাত থেকে ৩’শ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
একসময় দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি ছিলো কৃষি। বর্তমানে কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় এক সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে দেখা দিয়েছে। ইপিবির তথ্য মতে, এরই মধ্যে ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ ১৪৪ টি দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে এই খাতের রপ্তানি আয়।
বিভিন্ন ধরনের মসলা, ফলের রস, পানীয়, রুটি, বিস্কুট ও চানাচুরজাতীয় শুকনা খাবার বেশি রপ্তানি হয়। উদ্যোক্তারা বলছেন, বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ৩ কোটির বেশি প্রবাসী বাঙ্গালী দেশের কৃষিজাত পণ্যের বড় ভোক্তা। এছাড়া, উৎপাদন খরচ তুলনামুলক কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্যের চাহিদা প্রচুর।
কিন্তু সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন শস্য ও ফসলের ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, দেশে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরনের পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি গড়ে উঠেনি। বাংলাদেশ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী সংগঠন- বাপা’র তথ্যমতে, এই খাতের পাঁচশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদেশে রপ্তানি করে মাত্র ১০০ প্রতিষ্ঠান।
কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে মাঝারি এবং ছোট উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া এবং দেশের কৃষিকে আরও উৎপাদনমুখী করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি আয়
অর্থ বছর আয়
২০১৬-১৭ ৫৫.৩১ কোটি ডলার
২০১৭-১৮ ৬৭.৩৭ কোটি ডলার
২০১৮-১৯ ৯০.৮৯ কোটি ডলার
২০১৯-২০ ৮৬.২০ কোটি ডলার
২০২০-২১ ১০২.৮১ কোটি ডলার