৮:২১ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • গবাদিপশুকে সুষম খাবার যে কারণে খাওয়াবেন
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩ ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
গবাদিপশুকে সুষম খাবার যে কারণে খাওয়াবেন
প্রাণিসম্পদ

গবাদিপশু পালন করে অধিক লাভ করতে সুষম খাদ্যের কোন বিকল্প নাই। সুষম খাদ্য গবাদিপশুতে আরো লাভ নিয়ে আসে।কারণ সুষম খাদ্য ছাড়া গবাদিপশু বেশি বৃদ্ধি পায় না। গবাদিপশুর সুষম খাদ্য বলতে বুঝায় যে খাদ্যে আমিষ, শর্করা, স্নেহ বা চর্বি, খনিজ লবণ, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ ও পানি সঠিক অনুপাতে থাকে।  আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাদ্য অন্ত্রে পরিপাক হয়ে অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত হয়। পরে তা অন্ত্রে শোষিত হয়ে রক্তে মিশে এবং দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে।

আমিষের সহায়তায় দেহের ভেতরে জৈব অনুঘটক এনজাইম তৈরি হয়। যেমন, পেপসিন, ট্রিপসিন ইত্যাদি। এসব এনজাইম খাদ্যের প্রোটিন, লিপিড ও শর্করাকে ভেঙে সহজপাচ্য পুষ্টিতে রূপান্তরিত করে যা কোষ সহজেই শোষণ ও সদ্ব্যবহার করতে পারে। পশুর দেহের রক্ত, পেশী ও সংযোজক কলার প্রধান অংশই প্রোটিনে গঠিত। খাদ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন পশু দেহের শক্তি ও চর্বির উৎস হিসেবে কাজে লাগে।

শর্করা পশু দেহে কর্মশক্তি যোগায়। শর্করা খাদ্যান্ত্রে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয় যা অন্ত্রে শোষিত হয়ে রক্তে মিশে কার্যসম্পাদন করে। অতিরিক্ত শর্করা দেহে গ্লাইকোজেনরূপে জমা থাকে এবং খাদ্যে শর্করার অভাব হলে প্রয়োজনে সেই গ্লাইকোজেন কর্মশক্তি যোগায়।

স্নেহ প্রাণী দেহের টিস্যুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গবাদিপশুর প্রধানত তাপ ও শক্তির উৎস হিসেবে সঞ্চিত থাকে। সাধারণত গবাদিপশুর দানাদার খাদ্যে শতকরা ৪ ভাগ চর্বি জাতীয় পদার্থ থাকা প্রয়োজন।

খনিজ পদার্থ বাড়ন্ত পশুর নতুন অস্থি ও টিস্যু সৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উপাদান কঙ্কালের আকৃতি ও দৃঢ়তা বজায় রাখে। পশুর লোম, ক্ষুর ও শিং গঠনে খনিজ পদার্থ প্রয়োজন। খনিজ পদার্থ যেমন- লৌহ রক্তে অক্সিজেন ও কার্বনডাইঅক্সাইড বহন করতে সহায়তা করে। আবার পটাসিয়াম পশুর দেহের তরল পদার্থের অ্যাসিড বেসের সমতা রক্ষা করে।

যেসব জৈব যৌগ খাদ্য উপাদান হিসেবে অল্প পরিমাণ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জরুরি তাদের ভিটামিন বলা হয়। প্রাণী দেহের জন্য পর্যাপ্ত আমিষ, শর্করা, স্নেহ ও খনিজ পদার্থ খাদ্যের সাথে সরবরাহ করেও ভিটামিন ছাড়া জীবন চালনা সম্ভব হয় না।

স্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি, দৈহিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভিটামিন অত্যাবশ্যক। পশুখাদ্যে যদি ভিটামিন না থাকে অথবা সুষ্ঠভাবে ভিটামিন শোষিত না হয় কিংবা দেহে ভিটামিন সদ্ব্যবহার না হয় তবে সুনির্দিষ্ট রোগ হয়। যেমন, ভিটামিন ‘এ’ -এর অভাবে রাতকানা, জনন কর্মক্ষমতা হারানো, ভিটামিন ‘কে’ -এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হয় এবং ভিটামিন ‘ই’ -এর অভাবে জনন অকৃতকার্যতা পরিলক্ষিত হয়।

পশুদেহের শতকরা ৭০ থেকে ৯০ ভাগ পানি। সাধারণত দানাদার খাদ্যে শতকরা ১০ ভাগ ও খড় জাতীয় খাদ্যে শতকরা ১৫ ভাগ পানি থাকে। আবার সবুজ ঘাসে পানির পরিমাণ শতকরা ৯০ ভাগ। পশুখাদ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকা সত্ত্বেও পশুকে পৃথকভাবে পানি সরবরাহ করতে হয়। কারণ পানি দেহের কোষের কাঠিন্য ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এতে প্রাণিদেহের কাঠামো ঠিক থাকে।

পানি ছাড়া দেহে যেকোনো ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটা সম্ভব নয়। পানি দেহের এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে বিভিন্ন পুষ্টিকারক পদার্থ সরবরাহ করে। তাছাড়া পানি দেহের অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। আবার পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাফার হিসেবেও কাজ করে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop