গলাচিপায় পানের বাম্পার ফলন হলেও হতাশায় চাষিরা!
কৃষি বিভাগ
দক্ষিণ অঞ্চলের পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘পান’ চাষের বাম্পার ফলন হলেও প্রকৃত দাম পাচ্ছেনা পান চাষিরা।
জানা যায়, চিকনিকান্দী, ডাকুয়া, বকুলবাড়িয়া ও গলাচিপা সদর ইউনিয়নে বছরের বর্ষা মৌসুমে ‘পান’ চাষে যেমন নানা ভোগান্তি শেষ নেই। ‘পানের’ বরে অতি বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়া ‘পান’ চাষের বরের ভেতরে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হলে পানি সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘পানের লতা পচনধরা থেকে রক্ষা করতে হয়।
এতে ‘পান’ চাষের মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সার কীটনাশক ব্যবহার করলেও তা পানিতে নষ্ট হওয়ায় ‘পান’ চাষিদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার কয়েক শত ‘পান’ চাষি।
গলাচিপা উপজেলার ‘ পান’ চাষি মালিক সমিতির সভাপতি ও সফল ‘পান’ চাষি আবদুল লতিফ তালুকদার জানান, দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে ‘পান’ চাষ করে আসছি, বিগত বছরে আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ‘পান’ দেশ বিদেশেও রপ্তানি হয়েছে, ‘পান’ চাষিরাও পেয়েছে সঠিক দাম। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ অর্থ ব্যায় করে অনেক উন্নত মানের ‘পান’ বাম্পার চাষ হলেও, বাজারে তেমন দাম না পাওয়ায় হতাশায় আর দুঃশ্চিতায় দিন কাটাতে হচ্ছে। তাছাড়া ‘পান’ চাষিদের জন্য সরকার সঠিকভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ‘পান’ চাষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পথে বসে যাচ্ছে প্রান্তিক ‘পান’ চাষিরা।
গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার জানান, ‘পান’ অত্যান্ত একটি লাভজনক ফলন, এটি কিছুদিন বিশ্বের মাহামারী ভাইরাস এর কারনে ‘পান’ রপ্তানি বন্ধ হলেও, সরকার পুনোরায় ইউরোপ এবং সার্ক ভূক্ত এশিয়া দেশ গুলোতেও ‘ পান’ রপ্তানি শুরু করছে। তবে হ্যা এটা সঠিক যে বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ‘পান’ চাষ হওয়ায় ‘পানের’ দাম পূর্বের চেয়ে একটু কমের দিকে। তবে ‘পান’ চাষিরা শীঘ্রই এ সমস্যা থেকে উঠে দারাবেন আশা করি।