১০:১৬ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • গোয়ালন্দে পাট ও পাটকাঠিতে স্বস্তিতে আছেন কৃষকরা
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
গোয়ালন্দে পাট ও পাটকাঠিতে স্বস্তিতে আছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ একটি অতি প্রাচীন বাজার।এখানে ভোর থেকেই পাট বেচাকেনার বাজার শুরু হয়ে যায়। উপযুক্ত দামও পেয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। পাটের পাশাপাশি পাটকাঠি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফলে বাড়তি আয় হচ্ছে তাদের। হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাটকাঠির বাজার জমে উঠেছে। কৃষকের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বাজারে পাট বিক্রি করতে আসা সামছু মন্ডল জানান, পাট চাষে ব্যয় খুবই কম। একবিঘা পাটে ব্যয় মাত্র পাঁচ/সাত হাজার টাকা। অপরদিকে এক বিঘা জমিতে প্রায় ১৫ মণ পাট পাওয়া যায়। বর্তমানে গোয়ালন্দ বাজারে পাটের বাজার ৩০০০ টাকা থেকে প্রকারভেদে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এখন মাঠে যেমন কৃষক ব্যাস্ত পাঠ কাটতে তেমনি বাড়িতে মহিলারাও এখন কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন পুরুষের সাথে। রিয়াজুদ্দিন পাড়া ও মৃধা ডাঙ্গা ঘুরে দেখা যায় তারা ও পুরুষের সাথে পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মহিলারা। পানিতে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে আর রাস্তার উপর সারি সারি মহিলারা গাছ থেকে পাট ছাড়াচ্ছেন। নিজেদের পাশাপাশি অনেকেই পাটকাঠির বিনিময়ে পাট ছাড়িয়ে দিচ্ছে।

কুলছুম বিবি নামে একজন মধ্যবয়সী মহিলা জানান,পাটকাঠি জ্বালানির জন্য লাগে, বুদে বানাতে লাগে তাই ছাড়াতে এসেছি। যতগুলো ছাড়াব সবই আমার। তবে আবারও পাটের সুদিন ফিরে আসছে। পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পাট ও পাটজাতদ্রব্যে ব্যবহার বাড়াতে ভোক্তাদের আগ্রহী করা হচ্ছে। অপরদিকে পাটচাষে আগ্রহী করতে চাষিদেরকে সরকার থেকে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে আবারও পাটের ন্যায্যদাম পাচ্ছেন চাষিরা। মাঝখানে পাটের আবাদ কমলেও আবারও পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হলে পাটের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব মন্জুর রহমান জানান, আমরা পাটচাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষক পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং পাটের ন্যায্যমূল্যও পাচ্ছে। আমরা পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। গতবছর ২০১৯-২০ অর্থবছরে গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩২.৭২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। কিন্তু এ বছর পাট চাষ লাভবান হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষের দিকে ঝুঁকছে। এর ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২.৮০ হেক্টর জমিতে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop