চিংড়িতে ভারী দ্রব্য ভরে বিক্রি
মৎস্য
খুলনায় সাদা সোনা হিসেবে খ্যাত চিংড়িতে জেলি, সাগু কিংবা লোহার মতো দ্রব্য ভরে ওজন বাড়িয়ে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অতি মুনাফার লোভে চলছে এই অবৈধ কাজ। আর এসব চিংড়ি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন দেশ বিদেশের ক্রেতারা। নষ্ট হচ্ছে সুনাম। বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে আর্থিক জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি অপদ্রব্য ভরা চিংড়ি নষ্ট করার পরও এই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন।
খুলনা জেলায় আশির দশক থেকে হাজারো চাষী বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি চাষ করে আসছেন। এই অঞ্চলে চিংড়ি চাষ লাভজনক হওয়ায় ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কিন্তু কিছু অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় গলদা চিংড়িতে জেলি, সাগু, পানি, পাউডার ও সাদা লোহার মত দ্রব্য ভরে ওজন বাড়িয়ে তা বিক্রি করছে।
যার কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চলে যাচ্ছে অপদ্রব্য ভরা এসব চিংড়ি। ফলে ঠকছেন দেশি ও বিদেশি ক্রেতারা। আর সুনাম নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে প্রকৃত ব্যবসায়িদের।
মাঠ পর্যায়ে চিংড়িতে অপদ্রব্য ভরে দিয়ে বিক্রির চেষ্টা বন্ধে মৎস্য অধিদপ্তর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস কর্মকর্তারা।
চিংড়ির মতো একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যের গুনগত মান ঠিক রাখতে মৎস্য অধিদপ্তর প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান খুলনা জেলা মৎস কর্মকর্তা জয়দেব পাল।
২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৩৩ কোটি ডলারের চিংড়ি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।