চিরচেনা রুপে ফিরেছে কাপ্তাই হ্রদ
মৎস্য
চিরচেনা রূপে দীর্ঘদিন পর ফিরেছে রাঙামাটির সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। শুরু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ। রাতভর আহরণ করা মাছ জেলেরা ছোট ছোট বোটে করে নিয়ে আসছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে। প্রথম চার ঘণ্টায় ৩৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে।
বিএফডিসি সূত্র মতে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদ হতে ১৭ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন মৎস্য আহরিত হয়। সেখান থেকে রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০২২ সালে হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়।
দীর্ঘদিন পর অবতরণ ঘাটটিতে এখন ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য। শ্রমিকরা ব্যস্ত একের পর এক বরফ ভাঙতে। ড্রামে প্যাকিং শেষে আহরিত মাছ ট্রাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। গন্তব্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ব্যবসায়ী, শ্রমিকদের হাঁকডাকে চিরচেনা রূপে ফিরেছে ঘাটটি।
কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। তবে পানি কম থাকায় নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয় আরও দুই দফায় ১৭ দিন। তবে বিলম্বে হলেও মাছ ধরা শুরু হওয়ায় খুশি জেলেরা।
মাছ ব্যবসায়ী মাহফুজ উদ্দিন জানান, ‘দীর্ঘদিন ব্যবসা শুরু করলেও মাছের আকার ছোট থাকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এই মাছ ঢাকায় বিক্রি করতো পারবো কিনা জানি না। আমাদের দাবি ছিল, আরও কিছুদিন বন্ধ রাখার। তাহলে এই মাছের আকার আরও বড় হতো। আমরা লাভবান হতাম।’
বিএফডিসির রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘প্রথম দিকে জালে ছোট মাছ বেশি আসে। কয়েকদিন পর এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। প্রথমদিনের মতো এভাবে মাছ ধরা অব্যাহত থাকলে গত বছরের চেয়ে রাজস্ব আয় বেশি হবে বলে আশাবাদ তাদের।