জনপ্রিয়তা বাড়ছে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে
কৃষি বিভাগ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও বাগেরহাটের ফকিরহাটে জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় আধুনিক যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষক স্বল্প সময়ে বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারছে।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বরুন্ডি গ্রামের একশ কৃষককে প্রণোদনার মাধ্যমে পাচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ। দেড়শ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা।
আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মাধ্যমে কৃষকদের সাশ্রয় হচ্ছে অর্থ ও সময়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বীজতলা তৈরি, রোপণ ও ধান কাটার এই পদ্ধতিতে খুশি স্থানীয় চাষিরা।
সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
সিংগাইর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম বলেন, পূর্বে বিঘা প্রতি যেখানে ১২-১৩ হাজার খরচ হতো সেটা কমে এসে ৭-৮ হাজার টাকার মধ্যে এক বিঘা জমিতে চাষ হচ্ছে। এখানে কৃষকের শ্রমও কমছে, খরচও বাঁচছে।
সিংগাইর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান স্বপন বলেন, মেশিনের মাধ্যমে তারা ধানের চারা উৎপাদন করতে পারে। সেই চারা কিভাবে মেশিনের মাধ্যমে রোপণ করা যায়, সেটা একটা প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সরকার করে যাচ্ছে।
এদিকে, বাগেরহাটের ফকিরহাটেও সমলয় পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধান চাষাবাদে চারা রোপণ শুরু হয়েছে।
এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় আধুনিক যন্ত্রপাতি। প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে ফসল রক্ষা, সেচ ও সার ব্যবহারে রয়েছে আধুনিক সব পদ্ধতি।
সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতিতে কৃষক স্বল্প সময়ে বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারছে বলে জানায় কৃষি অধিদপ্তর।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য যন্ত্রপাতি ও শস্য কর্তন থেকে শুরু করে সকল খরচ সরকার বহন করবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষককে সহায়তা প্রদান করা হবে।
সরকারের পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতি দেখে আগামীতে নিজেরাই এমনভাবে চাষাবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।