১:৩৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • জুনের শেষে বাজারে আসবে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম
ads
প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
জুনের শেষে বাজারে আসবে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম
প্রাণ ও প্রকৃতি

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, রংপুর সদর, বদরগঞ্জ এই তিনটি উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ হচ্ছে। সরকারিভাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রংপুরের এই তিন উপজেলায় গতবারের চেয়ে এই আমের চাষ বেড়েছে অনেক। জুন মাসের শেষ দিকে হাঁড়ি ভাঙ্গা আম বাজারে আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগ।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আখিরাহাট, পদাগঞ্জ, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গোপালপুর, নাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর নগরের বড়বাড়ী, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউপির কাঁটাবাড়ি এলাকাগুলো রয়েছে বিশাল বিশাল বাগানে সারি সারি আম গাছ। থোকায় থোকায় রয়েছে সবুজ আম। গ্রামের প্রতিটি সড়কের দুই ধারে, প্রতিটি বাসা-বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা লাগানো হয়েছে আমগাছ।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি বছর রংপুরের আট উপজেলায় ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির আমবাগানে ফলন এসেছে। এর মধ্যে রংপুর মেট্রপলিটন এলাকায় ২৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর, কাউনিয়া উপজেলায় ১০ হেক্টর, গংগাচড়া উপজেলায় ৩৫ হেক্টর, মিঠাপুকুর উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হেক্টর, পীরগাছা উপজেলায় ৫ হেক্টর, বদরগঞ্জ উপজেলায় ৪০০ আর তারাগঞ্জ উপজেলায় ১৫ হেক্টর রয়েছে।

মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ এলাকার আমচাষী জানান, ২৪ শতক জমিতে আম গাছ থাকে ৪০ থেকে ৪৫টি। কীটনাশক, সার আর শ্রমিকসহ খরচ হয় সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর আম বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

আমচাষি সবুজ আহমেদ জানান, আট থেকে ১০ বছর আগেও জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ চরম অভাবে ছিলেন। তিন বেলা তো দূরের কথা, অনেকের এক বেলাও খাবার জুটত না। এলাকার মাটি লাল হওয়ার কারণে এখানে বছরে একবার ধান হতো। বাকি আট মাস জমি পড়ে থাকত। কিন্তু হাঁড়িভাঙা আম ভাগ্য বদলে দিয়েছে।

রংপুরে হাঁড়িভাঙ্গা আমের সম্প্রসারক আব্দুস সালাম জানান, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান এখন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় করা হয়েছে। আমটির ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় এই আমের সুনাম দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। রংপুর অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র বদলে দিচ্ছে ।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার জানান, রংপুরে এখন ব্যাপকভাবে এই আম চাষ হচ্ছে। এই আম চাষে খুব একটা পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় না হওয়ায় মানুষ আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তিনি বলেন, রংপুরের আট উপজেলায় এবার হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৫০ হেক্টরে। অন্যান্য জাতের আম চাষ হয়েছে ৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। শিলাবৃষ্টি বা ঘুর্ণি ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে হাড়িভাঙ্গা বিদেশেও রপ্তানী করা যাবে। এ অঞ্চলে আম সংরক্ষণের জন্য বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, ‘আম বেচা-কেনায় যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় এবং পরিবহনে ব্যবসায়ীদের কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয় সে ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে প্রশাসন জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop