‘ডিম-মুরগির বাজার অস্থিরতার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতর দায়ী’
প্রাণিসম্পদ
ডিম-মুরগির বাজার অস্থিরতার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতর দায়ী। ‘প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে মনে হচ্ছে, করপোরেটদের করপোরেট অফিস। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অসাধু কিছু কর্মকর্তাদের জন্য করপোরেট ব্যবসায়ীরা সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।’
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন,বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। ।
মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করছে সরকার। এতে করপোরেট ব্যবসায়ীরা কন্টাক্ট ফার্মিংয়ে ঝুঁকছে। এরপর তারা আর প্রান্তিক খামারিদের কাছে মুরগির বাচ্চা বিক্রি করবে না। কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে তারা শুধুমাত্র উৎপাদন করবে। এতে করে বাজারে ডিম ও মুরগির সংকট দেখা দেবে।’
মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘সরকার শুধু করপোরেট ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করে ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। কারণ তাদের উৎপাদন খর কম। কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের ডিম উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৭৯ পয়সা।’
বলেন, ‘আমরা কত টাকায় বিক্রি করবো, কত পারসেন্ট লাভ করবো এটা সরকারের বের করে দেওয়া উচিত। আমাদের ডিম উৎপাদন খরচ আট টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব, যদি পোল্ট্রি ফিডের দাম কমানো যায়। কিন্তু পোল্ট্রি ফিডের উৎপাদন খরচ আমাদের জানানো হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি ১০ টাকা ৮০ পয়সা উৎপাদন খরচ হয়, সে ক্ষেত্রে ভোক্তা পর্যায়ে ১৩ টাকায় ডিম বিক্রি করলে সঠিক একটা মূল্য থাকবে। কিন্তু সরকার ১২ টাকা খুচরা মূল্য দিয়েছে। আমরা ১২ টাকাতেই বিক্রি করবো কিন্তু সেই ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। ভোক্তা অধিদফতর চাইলে যেভাবে ডিমের দাম কমে যায়, সেভাবে পোল্ট্রি ফিডের দামও কমে যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, দফতর সম্পাদক মেজবাউল হক, নোয়াখালী জেলার জাকির হোসেন, গাজীপুর জেলার অনিক সরকার প্রমুখ।