১০:৩৬ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • তিতায় জীবন মিঠা
ads
প্রকাশ : জানুয়ারী ৯, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
তিতায় জীবন মিঠা
কৃষি বিভাগ

করলা অনেকেরই অপছন্দ কারণ তিতা বলে। কিন্তু এ তিতাই জীবন মিঠা করে দিলো জালাল হাওলাদারের।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে রয়েছে করলা। বাজারে দাম বেশি পাবার আশায় এলাকার কৃষকরা ধান আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম করলা। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় দেশী করলার চাষের পাশাপাশি উন্নত জাতের করলা চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছে কৃষকরা।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগীতায় উচ্চ মূল্যের ফসল (সবজি) উৎপাদন প্রদর্শনী ও স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার উত্তর দেউলী গ্রামে ৫০ শতক জমিত উন্নত জাতের পায়রা-২ করলার চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন জালাল হাওলাদার।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক করলার চাষ হয়েছে। স্থানীয় করলাসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড করলা চাষ করে থাকে কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে ব্যাপক করলার চাষে সবুজের সমারাহ। অনেক কৃষকই এই করলা চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। এদের মধ্যে জালাল হাওলাদার একজন। তিনি ব্যাপকভাবে করলার চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জালাল বলেন, গত ভাদ্র মাসের শেষের দিকে জমি প্রস্তুত করে করলার চারা রোপণ করেন। মাঝেমাঝে বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সুযোগ বুঝে এরই মাঝে মাচা তৈরি করে চারা রোপণ করেন। ৫০ শতক জমিতে বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাঁচা তৈরিতে এবং শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। চারা রোপণের ২০ দিনের মধ্যে ফুল এবং ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। করলা ক্ষেত থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ মন করলা বিক্রি করেছি এবং করলার দাম বাজারে খুব ভালো থাকায় ২৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। সর্বোচ্চ আরো দেড় মাস পর্যন্ত এ মাচায় করলা থাকবে। এর পাশাপাশি লাউ, টমেটো, গাজর, হাইব্রিড মরিচ, কুমড়ো চাষ করা হচ্ছে। সব খরচ বাদ দিয়ে করলায় এ মৌসুমে সাড়ে ৩৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

তিনি বলেন, করলা শেষ হওয়ার পর অন্য ফসল মাচায় উঠে যাবে। একই মাচায় অন্য ফসল আবাদ করা হলে মাচা তৈরির খরচটা লাগবে না।

তিনি আরো বলেন, পৌত্রিক সূত্রে যে পরিমাণ জমি পেয়েছি। তারপরও আরো ২০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করছি। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে করলা চাষের জন্য সার, ওষুধ ও বীজ দিয়েছেন এবং অধিক ফসল উৎপাদনে উপজেলা কৃষি অফিসার স্যার প্রতিনিয়ত ক্ষেতে এসে পরিক্ষা-নীরিক্ষা করেন, যাতে ফসলের কোনো ক্ষতি না হয়। আমার সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস সবজি চাষ। দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার আমাদের। ছোট মেয়েটা এবার ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠছে আর বড় ছেলে দশম শ্রেণীতে পড়ার পাশাপাশি সবজি চাষে আমাকে সহযোগীতা করে।

জালাল হাওলাদার মনে করেন, ধানের আবাদের চেয়ে সবজির আবাদ লাভজনক। স্বল্প সময়ে সবজি বাজারজাত করা যায় এবং নিয়মিত টাকা পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, এ মৌসুমে মির্জাগঞ্জে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে করলার সাথে বিভিন্ন সবজির চাষ করা হয়েছে। হাইব্রিড জাতের করলা পায়রা-২ প্রায় সারা বছরই আবাদ করা যায়। জমিতে পানি নিষ্কাশন সুবিধা আছে, এমন এটেল দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি এই করলা চাষে উপযোগী। কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার অনেকেই এখন দেশি, হাইব্রিড, সোনামুখীসহ বিভিন্ন জাতের করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে জালালের করলার ক্ষেত দেখে অনেক চাষী আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আগামীতে উপজেলায় অধিক জমিতে করলার চাষ করা হবে। যাতে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়েও অন্য এলাকাতে বিক্রি করতে পারে কৃষকরা।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop