দেশের উন্নয়নের সব সূচকে শেখ হাসিনার পরশপাথরের ছোঁয়া লেগেছে
প্রাণিসম্পদ
বিশ্ব পরিমন্ডলের উন্নয়ন ও বিশ্ব শান্তি স্থাপন সবখানেই শেখ হাসিনা আছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শুক্রবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুনের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ অনলাইন অধিকার ফোরাম এ স্মরণসভা আয়োজন করে।
এ সময় তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের সব সূচকে শেখ হাসিনার পরশপাথরের ছোঁয়া লেগেছে। একজন শেখ হাসিনা আমাদের কাছে দৃষ্টান্ত। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে, সামাজিক উন্নয়নে, অর্থনীতির উন্নয়নে যেখানেই খোঁজা হবে সেখানে রয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি দেশের বাইরেও নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে বলা হয়েছে দুর্গতদের কন্ঠস্বর। বিশ্বের অভিবাসী সংকটে লক্ষ লক্ষ বিপন্ন মানুষকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার মা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন শেখ হাসিনা। সারাবিশ্ব যখন বৈশ্বিক সংকটে চুপ হয়ে আছে, সে সময় প্রমাণ হয়েছে সারাবিশ্বের সংকট দেখে মতামত দেন, উদ্বেগ দূর করতে বলতে পারেন শেখ হাসিনা। বিশ্ব পরিমন্ডলের উন্নয়ন, বিশ্ব শান্তি স্থাপন কোথায় নেই তিনি।
তিনি আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাস করে তাদের মনে রাখতে হবে দল আওয়ামী লীগ, নেতা একজনই শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা যেটা বলেন সেটাই সঠিক মনে করতে হবে। যদি ভালো কিছু করতে হয়, উন্নয়নের জন্য কিছু করতে হয়, আদর্শের জায়গায় খুঁজতে হয় তাহলে শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করতে হবে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, “পঁচাত্তরে প্রমাণিত হয়েছে কারা আওয়ামী লীগের সত্যিকারের স্বজন। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন সরকার আমলে প্রমাণ হয়েছে প্রকৃতপক্ষে কারা দুঃসময়ে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের স্বজন। অনেকেই সেদিন নানা অজুহাতে শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন না। সাহারা খাতুন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে পাশে থাকা আপনজন। তিনি আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে, দলের প্রশ্নে, দৃঢ়তার প্রশ্নে সেদিন সাহস দেখিয়েছেন। তার মত সততা, আদর্শিক দৃঢ়তা ও দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা ধারণ করতে হবে। এজন্য সাহারা খাতুনরা শারীরিক মৃত্যু হলেও কীর্তির মধ্যে বেঁচে থাকেন। সাহারা খাতুনের মত শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী হতে পারলে তাকে স্মরণ করা সার্থক হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট কাজী শাহনারা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জগলুল কবির, জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।