৯:৫০ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ধনে পাতা চাষে ফিরে পাচ্ছে আর্থিক সচ্ছলতা
ads
প্রকাশ : অক্টোবর ৭, ২০২১ ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
ধনে পাতা চাষে ফিরে পাচ্ছে আর্থিক সচ্ছলতা
কৃষি বিভাগ

জেলার বরুড়ায় ধনেপাতা চাষে অনেক কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অনেক কৃষক লাভজনক এ চাষের মাধ্যমে ফিরে পাচ্ছে আর্থিক সচ্ছলতাও। উপজেলার হরিপুর, কালির বাজার এলাকার কৃষক ধনেপাতা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। উর্বর পলি মাটিতে ধনেপাতা চাষে বেশ সফলতা পাচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। উর্বর পলি মাটিতে খুবই দ্রুত বেড়ে উঠে ধনেপাতা গাছ।

সরেজমিনে হরিপুর এলাকায় গিয়ে কথা হয় মোঃ কামরুল নামের এক ধনেপাতা চাষির সাথে। তিনি জানান, ধনেপাতা চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি চাষ। এটির চাষাবাদের ফল বেশ দ্রুতই পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, নিজে ২০ শতক জায়গায় ধনে পাতা চাষ করেছেন। এছাড়া প্রায় ৩৫ শতক জায়গায় করা একটি ধনে পাতার ক্ষেত অন্যের কাছ থেকে কিনেন ৪০ হাজার টাকায়। বর্তমানে ধনে পাতার বাজার মূল্য প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকা বলেও তিনি জানান। বরুড়ায় উৎপাদিত ধনেপাতা এখানকার হাট বাজারের চাহিদা মিটিয়ে নগরীর বিভিন্ন হাট বাজারেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, ধনিয়ার পাতা মসলা বা খাদ্য সুগন্ধিকারক হিসেবে বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হয়। এ দেশের মতো ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফ্লোরিডা, হাওয়াই প্রভৃতি দেশেও রান্নার মসলা হিসেবে ধনিয়া বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এর কাঁচা পাতা ব্যবহার হয়। শুকালে এর পাতার তীব্র সুগন্ধ নষ্ট হয় না। ধনিয়া যে শুধু রান্নাকে সুগন্ধময় ও সুস্বাদু করে তাই নয়, এর ভেষজ মূল্যও আছে। জ্বর, হাইপার টেনশন, অ্যাজমা, পাকস্থলীর জ্বালা পোড়া, কৃমি, সাপে কামড়ানো, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ধনিয়া সফলভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, ধনিয়া পাতার রয়েছে- ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল, ৬ ধরনের অ্যাসিড, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য ফাইবার, ম্যাংগানিজ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ফসফরাস, ক্লোরিন ও প্রোটিন। এ উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং যেকোনও চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।

এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ধনে পাতা চাষ একটি লাভজনক ও মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় এবং চাহিদাপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিটি পরিবারে তরিতরকারি রান্নার কাজে এটি অবশ্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটির চাষাবাদে প্রাথমিক অবস্থায় অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পানি থেকে রক্ষা করলেই হয়। বরুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ধনে পাতা চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop