৯:৫২ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • নওগাঁর ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’ যাচ্ছে ইংল্যান্ডে
ads
প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২১ ৬:৫০ অপরাহ্ন
নওগাঁর ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’ যাচ্ছে ইংল্যান্ডে
এগ্রিবিজনেস

নওগাঁ জেলা থেকে আম রুপালি আমের পর এবার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’। ইংল্যান্ডে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে তৃতীয় চালানে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক থেকে ৫০০ কেজি ব্যানানা আম ও ৫০০ কেজি আম রুপালি আম ঢাকার শ্যামপুরে পাঠানো হয়েছে।

সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতেই নওগাঁর আমের এই চালান যুক্তরাজ্যে পৌঁছাবে।

এর আগে গত ১৭ ও ২০ জুন সাপাহার উপজেলার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্ক ও রূপগ্রাম অ্যাগ্রো ফার্ম-এর মালিক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা দুই চালানে আম রুপালি আড়াই মেট্রিক টন ইংল্যান্ডে পাঠান। বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তিনি ইংল্যান্ডে আম রপ্তানি করেন।

সম্প্রতি দেশে আম উৎপাদনকারী অন্যতম প্রধান জেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। এ জেলায় চলতি বছর ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ বছর ২ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

এ জেলায় উৎপাদিত আমের ৬০ শতাংশই আম রুপালি জাতের আম (বারি আম-৩)। এ জন্য নওগাঁ আম রুপালি আমের জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। এছাড়াও দেশীয় জাত ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, নাগফজলী, আশ্বিনা, কাটিমন, বারি আম-৪ ও হাড়িভাঙা আম চাষ হচ্ছে। দেশী প্রজাতির আম ছাড়াও বিদেশী জাতের মিয়াজাকি, থাই ব্যানানা ম্যাঙ্গো, রেড পালমার, টেনসিংটন প্রাইড, অস্টিন, গিলানি ও রুবি জাতের আমগাছও রয়েছে। এ জেলার সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় আমের বাগান বেশি রয়েছে।

সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুজিবর রহমান জানান, বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম চাষের জন্য উপজেলার ১৫ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মৌসুমজুড়েই এই চাষিদের বাগানে আম উৎপাদনের প্রক্রিয়া আমরা দেখভাল করেছি। এই চাষিদের উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আম বিদেশে পাঠানোর জন্য উপযুক্ত। যে আম দেশের বাজারে দুই হাজার টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে সেই আম রপ্তানিকারকদের কাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন চাষিরা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) ফল ও উদ্যান গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিনের সহযোগিতায় গত ১৭ জুন এক মেট্রিক টন (এক হাজার কেজি) ও ২০ জুন আরও দেড় মেট্রিক টন আম রুপালি আম কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিদেশে পাঠাতে পেরেছেন তিনি। তৃতীয় চালান নিয়েও ঝামেলা হবে না বলে তিনি মনে করেন। লন্ডনের একজন ক্রেতা আমগুলো আমার থেকে নিচ্ছেন। সেখান থেকে ইংল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি আম বিক্রি করে থাকেন। এ বছর আরও প্রায় ৫-৬ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করতে পারবেন। যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফিনল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেনে আম পাঠানোর জন্য তিনি অর্ডার পেয়েছেন।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop