১:৪৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • নার্সারি করে ঘুরে দাঁড়াল গাইবান্ধার ২‘শ উদ্যোক্তা
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ৬, ২০২১ ৩:২২ অপরাহ্ন
নার্সারি করে ঘুরে দাঁড়াল গাইবান্ধার ২‘শ উদ্যোক্তা
কৃষি বিভাগ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায়  খোর্দ্দকোমরপুর ও ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর, বুজরুক পাকুরিয়া, কিশামত দুর্গাপুর ও তরফ জাহান গ্রামে শত শত নার্সারিতে সবুজের সমাহার। চারা বিক্রি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত মালিক-শ্রমিকরা। এমনিভাবে নার্সারি করে নিভৃত গ্রামের ২০০ জন উদ্যোক্তার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। এসব নার্সারিতে ফলজ বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে তিনফল, ড্রাগন, রামবুটান, এভোকাডো, পিচ, আপেল, আঙুর ইত্যাদি।

জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মফসেল মেম্বর নামের এক কৃষক প্রথমে ৫০ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে নার্সারি ব্যবসা শুরু করেন। এখান থেকে লাভের মুখ দেখেন তিনি। ধীরে ধীরে তার নার্সারির পরিধি বাড়তে থাকে। তার সাফল্য দেখে গ্রামের আরও প্রায় অর্ধশত উদ্যোক্তা নার্সারি গড়ে তোলেন। নার্সারি ব্যবসায় লাভবান হয়েছেন তারাও।

ওইসব উদ্যোক্তাকে অনুসরণ করে পার্শ্ববতী খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুক পাকুরিয়া, কিশামত দুর্গাপুর ও তরফ জাহান গ্রামে গড়ে উঠেছে আরও প্রায় ১৫০টি নার্সারি। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নার্সারির চারা উৎপাদন ও বিক্রি করে এখানকার উদ্যোক্তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন।

এসব নার্সারিতে ফলজ বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে তিনফল, ড্রাগন, রামবুটান, এভোকাডো, পিচ, আপেল, আঙুর ইত্যাদি।ফুলের মধ্যে রয়েছে ক্রিসমাস্টি, এটোলিয়াম, নাইটকুইন, এ্যারোমেটিক জুঁই, করবীসহ আরও হরেক রকম চারা। ঔষধির মধ্যে অর্জুন, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, নিম, জয়তুন ও পাথরকুচিসহ নানা প্রজাতির চারা দেখা যায় নার্সারিতে।

কাঠবৃক্ষের মধ্যে আছে বেলজিয়াম, মেহগনি, সেগুন ও রেইন্ট্রি চারা। মসলা জাতের মধ্যে তেজপাতা, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ। একইসঙ্গে শোভাবর্ধনজাতীয় চারার মধ্যে রয়েছে ক্যাকটাস, ছাকুল্যান্টম, পাতাবাহার, এ্যারোলিয়া প্রভৃতি। এছাড়া আরও বেশকিছু জাতের চারা দুলছে নার্সারিগুলোতে।

সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপুকুর সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে অধিকাংশ নার্সারি। পথের ধারে নার্সারির চারা যেন শোভাবর্ধন হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এতে করে দৃষ্টি কাড়ছে পথচারীদের। খানিকটা প্রাণ জুড়াতে কেউ কেউ ঘুরে দেখেন, আবার কেউবা কিনে নিচ্ছেন নানান জাতের চারা।।

সাদুল্লাপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুছ আলীর দাবি, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছেন তারা। তিনি মনে করেন, নার্সারি ব্যবসা বেশ লাভজনক। কেউ পরিকল্পনামাফিক নার্সারি করলে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop