১০:১৮ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বাকৃবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হকের মৃত্যুতে বাকৃবিতে শোকের ছায়া
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২২ ৯:০৫ অপরাহ্ন
বাকৃবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হকের মৃত্যুতে বাকৃবিতে শোকের ছায়া
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু।। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হকের মৃত্যুতে বাকৃবিতে শোকের ছায়য়।

সোমবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে দুপুর দেড়টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৯৩ বছর।

প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক ১৯২৯ সনের ২ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার চর জামাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৮০-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ড. আমিনুল হক বাকৃবিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ফাদার অব ফিশারিজ নামেও পরিচিত ছিলেন।

প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

তিনি ১৯৪৬ সনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক, ১৯৪৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে আই.এসসি.এবং ১৯৫০ সনে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এসসি.তে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান, ১৯৫২ সনে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এসসি.তে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন, তিনি ১৯৫৭ সনে নোটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রী অর্জন করেন। মরহুম ড. আমিনুল হক ১৯৭০-৭১ সনে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সীয়াটো পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ (SEATO Post-doctoral Fellowship) (SEATO Post-doctoral Fellowship) অর্জন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পুরস্কার অর্জন করেন।

মরহুম প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক ১৯৫২-১৯৫৪ সন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণি বিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার, ১৯৫৪-১৯৫৭ সন পর্যন্ত নোটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট স্কলার, ১৯৫৭-১৯৬২ সন পর্যন্ত সিনিয়র লেকচারার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৬২-১৯৬৭ সনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগে রিডার এবং ১৯৬৭-১৯৮৯ সন পর্যন্ত প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর, থাইল্যান্ড চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট টিচার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য ও কৃষিসংস্থা (FAO)) ফাউ/ইউএনডিপি প্রকল্পের ফিশারি ট্রেনিং এক্সপার্ট এবং বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য পৃথিবীর ২৩টি দেশ পরিভ্রমন করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর ওপর অর্পিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে পালন করেন। ৭টি বইসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর ৫০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশ ও বিদেশে সুখ্যাতির সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক এর মৃত্যুতে বাকৃবি তথা দেশ একজন সৎ, প্রজ্ঞাবান ও মহানুভব শিক্ষাবিদকে হারালো।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, সোনালী দল, নীলদল, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, কর্মচারি পরিষদ, কর্মচারি সমিতি, কারিগরি কর্মচারি সমিতিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মরহুম প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক – এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop