৮:৩২ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বিএলআরআই’র ‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ কর্মশালা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর-২০২২’ সমাপনী অনুষ্ঠিত
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৭:৫৫ অপরাহ্ন
বিএলআরআই’র ‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ কর্মশালা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর-২০২২’ সমাপনী অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞান ও গবেষণা

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক ২০২১-২২ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ কর্মশালা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর-২০২২’ সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির সমাপনী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত যুগ্ম সচিব জনাব শাহীনা ফেরদৌসী।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুইদিনব্যাপী চলা এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, বাংলাদেশ দেশ আজকে বটমলেস বাস্কেট থেকে বাস্কেট অব ডেভেলপমেন্টে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে কৃষির অবদান অভূতপূর্ব। সারা বিশ্বেই এই উন্নয়ন দৃশ্যমান। মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশে সবচেয়ে বেশি অবদান এদেশের কৃষিবিদদের। দেশের কৃষি খাত বিকশিত না হলে দেশের কিছুই যে ভালো মতো চলবে না সে কথা বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন। সেজন্য তিনি কৃষি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তৎকালীন সময়ে যে চিন্তা করেছিলেন, তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই এসডিজি গোলগুলোতে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, রিসার্চ পেপারের মূল্যায়ন করতে হবে, গবেষণার মূল্যায়ন করতে হবে। ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল রিভিউয়ের মাধ্যমে গবেষণাগুলোকে গ্রেডিং করতে হবে। সবচেয়ে ভালো গবেষণাগুলো নিয়ে প্রচার প্রচারণা বাড়াতে হবে যাতে সারা বিশ্বের মানুষ জানতে পারে আমাদের দেশে কি কাজ হচ্ছে। গবেষণা থেকে সম্প্রসারণ পর্যন্ত যে সকল গ্যাপ আছে তা দূর করতে হবে। গবেষণা ও সম্প্রসারণ সমান গতিতে চলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের পূর্ণ মেধা ব্যবহার করে দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার ভাবনা থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের চলমান গবেষণা কার্যক্রমগুলোর পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এমন গবেষণা করতে হবে যার আউটপুট থাকে। এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে যেনো তা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়।

দেশের প্রান্তিক খামারিদের প্রয়োজনে লাগে। একই সাথে তরুণ ও আধুনিক খামারিদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়েও আমাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। আগামী দিনের গবেষণা প্রকল্পসমূহকে ঢেলে সাজানো হবে, যেন তা টার্গেট পূরণে সহায়তা করে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তা নেওয়া হবে। দুইটি প্রতিষ্ঠান এক হয়ে কাজ করলে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop