ভোলায় শুরু হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ
এগ্রিবিজনেস
ভোলায় বাণিজ্যিকভাবে আদার চাষ শুরু হয়েছে। জেলায় চলতি বছরের রবি মৌসুমের শেষের দিকে জেলার ৭ উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের পাহাড়ি আদার চাষ হয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে ৪২০ মেট্রিক টন আদা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। হেক্টরপ্রতি ১২ থেকে ১৩ মেট্রিক টন আদা উৎপাদন করা সম্ভব। ৭-৮ মাসব্যাপী আদা চাষে ৪’শ ৩২ জন কৃষককে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বীজ বিতরণ ও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু মো: এনায়েতউল্লাহ জানান, আদা মূলত দামি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি মসলা। দেশে আদা চাহিদার তুলনায় বড় একটি অংশ অন্যদেশ থেকে আনতে হয়। এ জেলায় সুপারি ও নারকেল বাগান রয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে এবং ৩ হাজার মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টিপাত হয়। যা আদা চাষে অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে ছায়াযুক্ত জমিতে অন্য জমির চেয়ে ২০ ভাগ বেশি আদার উৎপাদন হয়। এমন ধারনা থেকে প্রথমবারের মতো বান্দরবন থেকে আদা এনে তা বিনামূল্যে কৃষকদের বীজ হিসেবে প্রদান করি।
কৃষকরা জানান, মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে তারা আদার বীজ রোপণ করেছেন। নভেম্বর-ডিসেম্বর দিকে ফলন ঘরে তুলবেন। পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে এর চাষ হওয়ায় জমির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এক শতাংশ জমির জন্য ৪ কেজি আদার বীজ প্রয়োজন হয়। আর একটি গাছ থেকে আড়াই কেজি বা তারচেয়ে বেশি আদা পাওয়া যায়। তাই পরিশ্রম কম হওয়াতে আদা চাষে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসার এ এফ এম শাহাবুদ্দিন জানান, তার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি জমিতে আদার চাষ হয়েছে। মূলত সুপারির বাগানগুলোতেই বেশি আবাদ হয়েছে। এর মাধ্যমে এসব বাগানকে দুই ফসলী জমিতে রুপান্তর করা হলো। তারা কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছেন। ২৯ জন কৃষককে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার একান্ত উদ্যোগে চাষ হওয়া আদা প্রথম দিকে চ্যালেঞ্জ মনে হলেও তা এখন সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।