মাছ চাষে স্বর্ণপদক পেলেন তারেক!
প্রিয়মুখ
এবার মাছ চাষে বিশেষ অবদান রাখান জন্য স্বর্ণপদক পেলেন দিনাজপুরের আবু সালেহ মো. তারেক। তিনি গুণগত মানের পোনা উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মাছ চাষ সম্প্রসারণে অবদান রাখায় দেশের শ্রেষ্ঠ মাছচাষি হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশের শ্রেষ্ঠ মাছ চাষি হিসেবে স্বর্ণপদক ও ৫০ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দেয় কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
জানা যায়, ৬৬ বিঘা জমির ওপর ১৩টি পুকুর নিয়ে তাজ অ্যাগ্রো ফার্ম গড়ে তুলেন। রেণু থেকে পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চাষ হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির রুই, পাবদা, শিং, কই, মাগুর, টেংরা মাছ। তাছাড়া তাঁর খামারে কাজ করেন ১২ শ্রমিক কাজ করেন।
আবু সালেহ জানান, একটি পুকুরে পোনা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে নিজস্ব জমিতে ছোট–বড় ৯টি পুকুর ও ইজারা নেওয়া ৪টি পুকুরে মাছ চাষ করছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হেক্টর পুকুরে কার্প–জাতীয় রুই মাছ, শিং, পাবদা, গুলশা ও টেংরা মাছের মোট ৪৬ লাখ পোনা উৎপাদন করেছেন। এ সময় ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বছর শেষে পেয়েছেন ৮৭ লাখ ৭ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, গত অর্থবছরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর মৎস্য বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে জেলার সর্বোচ্চ রেণু সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাজ অ্যাগ্রো ফার্মকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফার্মটি দিনাজপুরের পোনা ও মাছের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলাতেও পোনা সরবরাহ করছে।
বিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাউসার হোসেন জানান, উপজেলায় ২ হাজার ২০০টি পুকুরে ১ হাজার ৬০০ মাছ চাষি রয়েছেন। আবু সালেহ তারেক দেশের মধ্যে প্রথম কম বয়সী তরুণ মৎস্য উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণপদক পেয়েছেন। এই ফার্মে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেণু থেকে পোনা উৎপাদন কর হয়। রোগমুক্ত ও গুণগত মান উন্নত হওয়ায় মৎস্য খামারিদের কাছে এসব পোনার বেশ গ্রহণযোগ্যতা আছে।