৯:০৪ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • মুশুদ্দি কৃষকদের মুখে হাসি
ads
প্রকাশ : জানুয়ারী ২৫, ২০২২ ২:৫১ অপরাহ্ন
মুশুদ্দি কৃষকদের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

কঠোর প্ররিশ্রম করে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি আবাদ করে সাবলম্বি হয়েছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের সবজি চাষীরা। এ গ্রামটি এখন ‘বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাঁরা এখন স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছেন। হয়েছে অর্থকুড়ি, বাড়িঘর ও দালান। সবজি আবাদই এমন ভাগ্যের পরিবর্তন এনে দিয়েছে ওই এলাকার কৃষকদের। বছরজুড়ে আবাদি জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি আবাদ করে এমন ভ্যাগের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন তারা। ভালো মানের সবজি আবাদ হওয়ায় উপজেলার পাশাপাশি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে এই বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি।

ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানায়, উপজেলায় ৫৫০ হোক্টর সবজি আবাদ হয়েছে। শুধু মুশুদ্দি ইউনিয়নে ১০৩ হোক্টর। সবজি আবাদের জন্য নারী ও পুরুষরা মাঠে সমানভাবে কাজ করে। প্রণোদনা, পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রদর্শনীতে কৃষকদের আগ্রহতে বেড়েই চলছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি আবাদে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামটি সবজি প্রধান এলাকা। এই এলাকার কৃষকরা সবজি আবাদের পাশাপাশি কিছু জমিতে ধানও চাষ করে। বছর জুড়েই লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, শিম, শসা, চিচিংগা, রবরটি, ঢেঁড়স, পুইশাক, লাউশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন রকমে সবজি পর্যায়ক্রমে একের পর এক আবাদ হচ্ছে। দেশের ১০টি মডেল সবজির গ্রামের মধ্যে মুশুদ্দি একটি। রাসায়ানিক সারের পরিবর্তে জৈব সার দিয়ে আবাদ করা হয়ে এই সবজি। পোকা দমনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্স ফেরোমিও ও আলোর ফাঁদ। কম্পোষ্ট ও জৈব সার ব্যবহারে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠছে সবজি গাছ।

কামাড়পাড়া গ্রামের কৃষক রাজ্জাক বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতের সবিজ একের পর এক আবাদ করে আসছি। এই মৌসুমে ৭৫ শতাংশ জমিতে শিম, লাউ, বেগুন, করলা ও পটল আবাদ করেছি। সব খরচ বাদে প্রতি বছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় থাকে।

সবজি চাষী হারুন বলেন, শুধু আমিই না, আমার মতো যারা সবজি আবাদ করে সবারই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। এক সময় আমরা এই এলাকায় শুধু ধান চাষ করতাম। ধান চাষের চেয়ে সবজি আবাদে পাঁচ গুণ লাভ। কৃষক আসাদ বলেন, বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি আবাদ করে আমার ভাগ্যের পরির্বতন হয়েছে। এক সময় অনেক কষ্টে দিন পার করতাম। শুধু আমি না ইউনিয়নের শতশত কৃষক এখন স্বাবলম্বী। কৃষকদল গঠন করে এখানে সবজি আবাদ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষ অফিস থেকে কর্মকর্তরা মাঠে এসে সব পরামর্শ দিচ্ছে। এখন আমরা অনেক খুশি।

সবজির আড়তদার আব্দুল কাদের বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে মুশুদ্দি বাজারে থেকে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে বিষ ও রাসায়নিক সারমুক্ত সবজি ক্রয় করে পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাই।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া বলেন, ‘ মুশুদ্দি ইউনিয়নটি মূলত সবজি প্রধান এলাকা। এই এলাকায় কৃষকরা বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করে থাকে। আমরা মাঠে গিয়ে সব সময় তাদের পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। এই এলাকায় বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি আবাদ করছেন কৃষকরা।’

ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাজেদুল ইসলাম জানান, মুশুদ্দি ইউনিয়নের সব সবজি চাষীদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। সবজি চাষে ওই এলাকার মাটি খুবই উর্বর এবং উপযোগী। তাই কৃষকরা সবজি আবাদে খুবই আগ্রহী। বর্তমানে গ্রামটি এখন ‘বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সবজি আবাদ করে মুশুদ্দি ইউনিয়নের কৃষকরা এখন লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop