মেহেরপুরে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ
কৃষি বিভাগ
মেহেরপুরে কৃষিকে সনাতন পদ্ধতি থেকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণে প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় বোরো ধান রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিবিভাগের আধুনিক সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা, ধান রোপণ ও কর্তনে বেশ আগ্রহী চাষীরা।
সদর উপজেলার নবীনগর মাঠে যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষামূলক ভাবে বোরো ধান রোপণ করা হচ্ছে।
ধান রোপণের ১৮ দিন আগে ৪শ’ কেজি উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ প্রথমে সাড়ে ৪ হাজার ট্রেতে স্থাপন করা হয়। ওই বীজতলার চারা দিয়ে ৫০ একর জমিতে ধান রোপণ করা হচ্ছে। কুয়াশা থেকে বাঁচাতে রাতে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেয়া হয়।
কৃষক আফসার আলী জানান, আগে আমরা চারা লাগাতে ১৫শ’ টাকা খরচ করতাম। এখন এই পদ্ধতিতে চাষে ৫-৬শ’ টাকা খরচ হয়। চারাও হয়েছে ভাল।
কৃষকরা বলছেন, প্রচলিত উপায়ে চাষাবাদে আগে বিঘাপ্রতি খরচ হতো ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। সমলয় পদ্ধতিতে খরচ হচ্ছে বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
সরকারের যুগোপযোগি এ সিদ্ধান্তে মেহেরপুরে চলছে সমলয় পদ্ধতির ধান চাষ। অল্প জমিতে বেশি ফসল পেতে কৃষিকে করা হচ্ছে যান্ত্রিকীকরণ।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, যেহেতু কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে তাই অল্প জমিতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি পদ্ধতির ছোঁয়া লাগিয়ে যাতে উৎপাদন বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কৃষিবিভাগ।
অল্প খরচে সমলয় পদ্ধতির ধান চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।