১০:২৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • মৎস্য অধিদপ্তরে শেকৃবি-তে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠিত
ads
প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১১:৪৫ অপরাহ্ন
মৎস্য অধিদপ্তরে শেকৃবি-তে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠিত
মৎস্য

গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ ঢাকার রমনায় অবস্থিত মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট (এস.সি.এম.এফ.পি) এর আওতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণায় উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত রেডি-টু-ইট ইলিশ ও টুনা মাছের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচালক জনাব খঃ মাহবুবুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন এস.সি.এম.এফ.পি প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং সে সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠানে শেকৃবি-তে ইলিশ ও টুনা ক্যানিং গবেষনার বর্তমান অবস্থা, সাফল্য, ও ভবিষ্যত নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইলিশ ও অন্যান্য মাছের ক্যানিং এর জন্য বিভিন্ন বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও নির্দেশনার কথা বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য অধিদপ্তরের এস.সি.এম.এফ.পি প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণায় সহায়তার উদ্যোগের কথা বলেন এবং গবেষণার বর্তমান পর্যায়ের সফলতার প্রশংসা করেন। শেকৃবি এর গবেষণাগারে স্বল্প পরিসরে উদ্ভাবিত এই কৌটাজাতকৃত ইলিশ কিভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মাঝারি উদ্যোক্তা ও ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে উৎপাদন করে বাজারে নিয়ে আসা যায় ও বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করা যায়, এ বিষয়ে কাজ করতে প্রকল্পকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে ইলিশ ক্যানিং এর এই চলমান গবেষণায় কৌটাজাতকৃত ইলিশের নিরাপদ খাদ্যমান বজায় রাখা ও এর উৎকর্ষতা সাধনে আরো কিছু সুপারিশ আসে। প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছ উপভোগ করেন ও তাদের মতামত প্রদান করেন। এখন পর্যন্ত গবেষণায় উৎপাদিত কৌটাজাতকৃত ইলিশের গুনাগুন ও খাদ্যমানের স্থায়িত্ব (শেল্ফ লাইফ) পরীক্ষণের ছয় মাসের ফলাফল হাতেপাওয়া গিয়েছে যেখানে এরখাদ্যমান অটুট থাকছে। এই শেল্ফ লাইফ এক বছর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হলেদেশেই রপ্তানিযোগ্য গুনাগুন সম্পন্ন কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা উৎপাদন সম্ভব হবে। সে সাথে উদ্যোক্তা ও  ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ে উৎপাদনের মাধ্যমে ভোক্তার হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে ওদেশের সুনীল অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে বলে মতামত প্রদান করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন এই গবেষণায় প্রাপ্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে শুধু ইলিশ ও টুনা নয়, অন্য যেকোনো সামুদ্রিক বা স্বাদু পানির মাছ কৌটাজাতকরণ সম্ভব হবে এবং উদ্যোক্তা তৈরি ও বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।এই গবেষণায় অর্থায়নের জন্য তিনি মৎস্য অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং সেসাথে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন শেকৃবি এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এর প্রতি যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় এই গবেষনাটি পরিচালনায় একটি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনে জায়গা প্রদান করেন ও নিয়মিত খোঁজ খবর নেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop