৮:৫১ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সুন্দরবনের শুঁটকি নিয়ে গবেষনায় নামছে সিকৃবির একদল গবেষক
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ৫:১৭ অপরাহ্ন
সুন্দরবনের শুঁটকি নিয়ে গবেষনায় নামছে সিকৃবির একদল গবেষক
ক্যাম্পাস

দেশে সুন্দরবনের দুবলারচরে গড়ে উঠেছে বিশাল শুঁটকিপল্লী। লইট্টা, ছুরি, চিংড়ি, রূপচাঁদা, খলিসা, ভেদা, পোঁয়া সহ অন্তত ১০০ প্রজাতির শুঁটকি তৈরি করা হয় এ পল্লীতে। বর্তমানে দেশের শুঁটকি অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল এটি। আর এই বিশাল শুঁটকি খাত নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) একদল গবেষক। মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধীনে শুরু হয়েছে এই গবেষণা কার্যক্রম।

দুবলারচরের শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ও শুঁটকি শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানের উপর জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে এই গবেষণায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের আওয়তায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহ গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়ের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণে কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং তার প্রভাব কতদূর বিস্তৃত হচ্ছে মূলত তাই পর্যালোচনা করা হবে এই গবেষণায়।’

গবেষণা কার্যক্রমটি সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোতাহের হোসেন। এ প্রসঙ্গে ড. মো. মোতাহের বলেন, ‘দুবলারচরে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে জেলেরা সাগর থেকে মাছ ধরে আনেন এবং তা শুঁটকিতে পরিণত করেন। আমাদের এই গবেষণা কার্যক্রমের উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। একই সাথে দুবলারচরে উৎপাদিত শুঁটকির মান নিয়েও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। জায়গাটি যেহেতু বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ, সেখানে গবেষণা করা সময়, অর্থ ও কষ্ট সাপেক্ষ। শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছি আমরা। আগামীতে পরিকল্পনা রয়েছে বড় পরিসরে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার।’

ইতোমধ্যে, ডিসেম্বরের ৯ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত সুন্দরবনে অবস্থান করে দুবলার চরের শুঁটকি পল্লী থেকে প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও পরিদর্শন করেছেন গবেষণা দলের সদস্য মো. আরিফ বিল্লাহ ও ইফতেখার আহমেদ ফাগুন। পরিদর্শনকালে দ্বীপের শুঁটকি শ্রমিকদের সাথে নানা বিষয়ে আলাপচারিতা হয় তাদের।

প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদী-খাল রয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদী ও খালে এখন জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ছে। প্রতি বছর আশ্বিন মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতের কাজ চলে। এবার শুঁটকি তৈরিতে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ। গত মৌসুমে আহরিত হয়েছিল ৪৫ হাজার মেট্রিক টন এবং তা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop