৯:১৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সূর্যমুখী ফুলে সফলতা পাচ্ছে চাষিরা
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সূর্যমুখী ফুলে সফলতা পাচ্ছে চাষিরা
কৃষি বিভাগ

বর্তমানে দেশে সূর্যমুখী পরিচিত একটি ফুল। এর তেল মানে-গুণে অনন্য। সারাবিশ্বেই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশেও সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে। বাণিজ্যিকভাবে সুফল পাচ্ছে চাষিরা।

সিরাজগঞ্জ জেলায় সূর্যমূখী ফুলের চাষ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। গত কয়েক বছরে সুর্যমূখী ফুল চাষে সাফল্য পেয়েছে ফুল চাষীরা। ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর, কামারখন্দ, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর, তাড়াশ, কাজীপুর, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলায় ২৬৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। যেটার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮০ হেক্টর।

কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কৃষককে বীজ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি গাছে একটি করে ফুল আসে। বীজ বপনের পর ফসল সংগ্রহ করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। হেক্টরপপ্রতি ১.৫ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর।

সূর্যমুখী চাষ করে শুরু থেকেই সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা। যদি কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে সুর্যমুখী চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন। ফলে একদিকে উপকৃত হবে কৃষক অপর দিকে মিটবে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা।

সদর উপজেলার বহুলী ইউপির ধীতপুর আলাল গ্রামের কৃষক আলী আকবর বলেন, আমি সারা বছর ধান, গম, ও সবজিরর চাষ করি। গত দুই বছর হলো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছি। এবারো ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেছি। আমার সূর্যমুখী ক্ষেত ফুলে ফুলে ভরে গেছে। জমিতে এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সুর্যের আলো ছড়াচ্ছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে গত বছরের চেয়ে এবারও ভাল লাভের আশা করছি।

সদর উপজেলার কাওয়াকোলা চরের ইউসুফ আলী বলেন, যমুনার চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। আমার পতিত ৪ বিঘা জমিতে এবার সূর্যমূখী ফুল চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও পেয়েছেন ভালো। প্রতি বিঘা জমিতে ৪ হাজার টাকা খরচ করে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

কাজীপুর উপজেলার ভানুডাঙ্গা গ্রামের ফুল চাষী আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে ধান, গম, ভুট্রা, চাষ করতাম। খুব একটা লাভ হতো না। গত ৫ বছর যাবত ফুল চাষ করি। সূর্যমুখী ফুলের খুব চাহিদা, ফলনও ভাল হয়। ধান গমের তুলনায় অনেক লাভ পাই। আগামীতেও ফুলের চাষ করব আশা করছি।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবু হানিফ জানান, জেলায় জমি সূর্যমুখী চাষের জন্য উপযোগী, এ বছর সূর্যমুখী ফুলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ২৬৪ হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হয়নি। বর্তমানে সূর্যমুখী ক্ষেতের যে অবস্থা তাতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop