৯:৫৫ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ৫২০ বাচ্চা দিয়ে শুরু, ৫ বছরে খামারে মুরগির সংখ্যা ৭ হাজার
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
৫২০ বাচ্চা দিয়ে শুরু, ৫ বছরে খামারে মুরগির সংখ্যা ৭ হাজার
পোলট্রি

ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ঘোষপালা গ্রামের খামারি আকাইদ হোসেন। পড়া-লেখার পাশাপাশি শুরু করেন ব্রয়লারের খামার। আর সেই ব্রয়লার খামার থেকেই লাভ লসের হিসাব কষে শুরু করেন সোনালি মুরগির চাষ। আর এভাবেই ভাগ্যবদল হয় সরকারি শহিদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আকাইদের। এগ্রিভিউ২৪.কম এর একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে আকাইদের ভাগ্যবদলের গল্প।

পড়া-লেখার পাশাপাশি কেন খামার শুরু করলেন?

আকাইদ: চাকরি না করার নেশা থেকেই মূলত আমার খামার করা। আমার ইচ্ছা হলো চাকরি করবো না। তবে, মানুষকে চাকরি দিবো। আর সেই নেশা থেকেই পেশা হিসাবে নিয়েছি এই খামারকে। আল্লাহর রহমতে দেখেছিও আলোর মুখ।

কিভাবে শুরু করলেন এই খামার?

আকাইদ: আমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার ভাইয়েরা খামার দিয়েছিলো। তবে তখন সেই খামারে তারা তেমন লাভ করতে পারেনি। বরং লস করেছিলো। যার কারণে তারা খামার বন্ধ করে দেয়। তবে আমার ভিতরে খামার করার ছিলো প্রচুর নেশা। ২০১৬ সালে আমি যখন এসএসসি পাশ করি তখন আবার পরিবারের সহায়তায় শুরু করি ব্রয়লার খামার। ২৫ হাজার ৪৮০টাকা দিয়ে আমি খামার শুরু করি। তখন আমার খামারে ছিলো ৫২০টি বাচ্চা। তবে শুরুতে আমার অভিজ্ঞতা না থাকাই লাভ-লসের হিসাবে আমার লোসের পাল্লাটা ভারি ছিলো। তবে, প্রথমদিকে বাজারে সঠিক দাম পাওয়াতে লাভ হয়েছিলো কিছুটা। আর তাতে করে আমি ৫‘শ থেকে মুরগির খামার আরো বড় করে মুরগির সংখ্যা করি ১ হাজার। আর সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালে আমার লসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিলো প্রায় ২ লাখ টাকার মত।

লস হওয়ার ‍পিছনে কারণ কি বলে আপনি মনে করেন?

আকাইদ: আমি প্রাথমিক অবস্থায় অনভিজ্ঞ ছিলাম। সিজনালী বাচ্চাও পাইনি। তারউপর যখন বাচ্চা পেলাম তখন একটি বাচ্চার দাম ছিলো ৭৯ টাকা করে। আর সেই মুরগি আমি বিক্রি করেছি কেজি প্রতি মাত্র ৯৫ টাকা করে। সবমিলিয়ে অনভিজ্ঞতা আর বাজার হিসাব না বুঝাতে আমাকে লসের ভার বহন করতে হয়েছে।

তারপরে কিভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখলেন?

আকাইদ: ২০১৮ সালে এসে আমি পোল্ট্রি খামার বাদ দিয়ে শুরু করি সোনালি মুরগি পালন। আর তাতেই আসে আমার সোনালি দিন। সাথে আছে অভিজ্ঞতাও। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সোনালি মুরগিতে ভাগ্যবদল করতে সামর্থ হই। প্রথমে আমি ২ হাজার বাচ্চা দিয়ে শুরু করে প্রায় ২৪ হাজার লস করি। তারপর ২০১৮‘র শেষের দিকে লস কাটিয়ে ২৬‘শ বাচ্চায় লাভ করি ৭০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে এসে সেড আরো বড় করি। তখন আমার খামারে বাচ্চার সংখ্যা ৫ হাজার।

এরপর ২০২০ সালে এসে ৪৮‘শ বাচ্চার এক চালানে আমার লাভ হয় প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। করোনার পরে ৫হাজার বাচ্চার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭ হাজারে। মোটকথা করোনার আগে-পরে আমার লাভ হয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মত। ২০২১ সালে এসে আবার আল্লাহর রহমতে আমার লাভ দিয়ে শুরু হয়। তখন আমি ৪ হাজার বাচ্চায় লাভ করি প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। আর এভাবেই চলছে। আল্লাহর রহমতে এখন খামারের ভালো অবস্থা যাচ্ছে ।

শেষের দিকে লাভ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে বলেন, এই ব্যবসায় কখনও হতাশ হওয়া ঠিক না। লেগে থেকে কাজ করতে হবে। আমি প্রথমে অনভিজ্ঞ ছিলাম। আর শেষের অভিজ্ঞতা আর বাজার পলিসি জানার কারণে লসের ভার বহন করতে হচ্ছে না।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop