“নিরাপদ মাংসের চাহিদা পূরণে, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে” আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্ট করণ প্রকল্প
প্রাণিসম্পদ
“আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” অল্প সময়ের মাঝে দেশের ৪৯১টি উপজেলায় এই প্রকল্পটির কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে । এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খামারিগণ। প্রকল্পের ধারাবাহিক সাফল্য ছড়িয়ে পড়েছে খামারিদের মাঝে, আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে হাসি ফুটেছে খামারির মুখে । প্রাণিজ আমিষের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ২০৩০ এর অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে এই প্রকল্প ।
প্রকল্পের বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে ডাঃ প্রাণকৃষ্ণ হাওলাদার এগ্রিভিউ২৪ কে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ২৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৫৯.৮০ শতাংশ । প্রকল্পটির কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ করতে বাড়তি সময় প্রয়োজন হবে, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে ।
তিনি আরো বলেন, করোনার প্রকোপের শুরু থেকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারি ও উপসহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খামারিদের পাশে থেকে কাজ করছেন। ফলে এ দুর্যোগের সময়ও সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
“নিরাপদ মাংসের চাহিদা পূরণে, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে” ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের “আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে । ২০১৯ সালে তিন বছরের মেয়াদে একনেকে ৪৭ কোটি ৭৫ লাখ হাজার টাকা বরাদ্দে আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পটি পাশ হয়। শুরু থেকেই খামারীদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সুফল ভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ, কৃমিনাশক ও ভিটামিন-মিনারেলস প্রিমিক্স বিতরণ, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ক প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ । সুফলভোগী খামারীদের মাঝে অনেক নারী খামারী রয়েছেন যারা এই প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে নিজের সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রাখছেন ।
এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী খামারি আমিনুল ইসলাম জানান, “আগে অন্যের দেখাদেখি গরু পালন করতাম, আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে লালন পালন করতে হয় তা জানতাম না, ফলে অনেক সমস্যায় পড়তাম । বর্তমানে আমরা আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের নির্দেশনায় গরু পালন করতে গিয়ে খুব কম খরচে ও সঠিক পরিচর্যায় গরু মোটাতাজা করতে সক্ষম হচ্ছি। এই প্রকল্প আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে ।”