উৎপাদন খরচই উঠছে না আলুচাষিদের
এগ্রিবিজনেস
আগাম আলু চাষ করে লোকসানের মুখে ঠাকুরগাঁও ও জয়পুরহাটের চাষিরা। বাজারে পুরনো আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় নতুন আলুর চাহিদা কম। এ কারণে আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না চাষিরা। তবে পুরাতন আলুর মজুদ শেষ হলেই কৃষকরা আলুর নায্যমূল্য পাবেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
গত কয়েক বছর ধরে আলুর ভালো ফলন হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে। ক্ষেতে আলু তোলার ব্যস্ততা। গেলবারের লোকসান পুষিয়ে নিতে এবার আগাম আলু আবাদ করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। তবে প্রত্যাশিত ফলন পেলেও কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না। তাই লোকসান এড়াতে সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার দাবি তাদের।
চাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষে ব্যয় হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
এ নিয়ে কৃষি বিভাগ বলছে, পুরনো আলুর মজুদ শেষ হলেই ন্যায্যমূল্য পাবে কৃষকরা। এবার ২৬ হাজার ৭০৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু হোসেন বলেন, বাজারে এখন আলুর দাম তুলনামূলক কম কারণ গত বছরের যে সমস্ত আলু রয়েছে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে। এগুলো শেষ হলে আমরা আশা করি কৃষকরা যথাযথ আলুর দাম পাবেন।
এদিকে, আবহাওয়া ভালো থাকায় জয়পুরহাটেও আগাম আলুর ফলন ভালো হলেও কাঙ্খিত দাম পচ্ছেন না চাষিরা।
প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রকারভেদে প্রতি মণ আলু বিক্রি করে ১৫০ টাকা থেকে ৪৮০ টাকা পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে উৎপাদন খরচও উঠছে না।
তবে, আলুর দাম কম হলেও লোকসান নয়, লাভ কমেছে বলে দাবি জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার ৪০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। কৃষক ভাইয়েরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য উপযুক্ত সময়ে সঠিক জাত চাষাবাদ করতে হবে। তাহলে তারা লাভবান হবেন।
লোকসান ঠেকাতে সার কীটনাশক ও বীজের দাম কমানোর পাশাপাশি আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি কৃষকদের।