কর্ণফুলীর চরে প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে অতিথি পাখি শিকার
প্রাণ ও প্রকৃতি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীতে জেগে উঠা বালু চরে বন্দুক দিয়ে প্রকাশ্যে পাখি শিকারের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার পূর্ব সরফভাটা এলাকার এই বালুচর থেকে দুইটি জলচর ও হাঁস প্রজাতির অতিথি পাখি শিকার করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। হাঁস দুইটির ওজন প্রায় সাত কেজি।
সরফভাটা এলাকার বাসিন্দা সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এবং পাখি গবেষক এনায়েতুর রহিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনায়েতুর রহিম জানান, শীত মৌসুম শুরুর হতেই কর্ণফুলী নদীর এই বালুচরে বিপুল সংখ্যক অতিথিপাখির সমাবেশ ঘটেছে। এর মধ্যে শনিবার সকাল দশটায় প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে আধুনিক একনালা বন্দুক দিয়ে পরিযায়ী পাখি শিকার করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে পাখি শিকার করলেও স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করেনি।
অন্যদিকে সম্প্রতি সরকার এয়ারগান নিষিদ্ধ করলেও রাঙ্গুনিয়ায় এভাবে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে পাখি শিকারের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী পূর্ব সরফভাটা স মিলের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, বিরল প্রজাতির হাঁস দুটি আমাদের সামনেই বন্দুক দিয়ে শিকার করা হয়। আমরা মনে মনে কষ্ট পেলেও কাউকে কিছু বলার সাহস করিনি।
স্থানীয়রা জানায়, রাঙ্গুনিয়ায় প্রায়ই বন্দুক দিয়ে সরকারি বনভূমি জলাশয়ে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী ও পাখি শিকার করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও কোদালা চা বাগানে পাহাড়ের মাটির গর্ত খুঁড়ে একটি সজারু হত্যা করা হয়। পরে চা শ্রমিকরা এই সজারু দিয়ে ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করে।