কুড়িগ্রামে বন্যায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
প্রাণ ও প্রকৃতি
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে থাকলেও অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে ধরলা নদীর পানি। শনিবার সকালে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬১ ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কম্পাইল কোনো তথ্য নেই।
এদিকে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপজেলা।
৬টি ইউনিয়নেই বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৬২০ জন। এরমধ্যে নদী ভাঙনের শিকার ১ হাজার ৪০জন, জলমগ্ন ২৭ হাজার ৩শ’ এবং পানিবন্দি হয়েছে ৫৮ হাজার ৪শ’ জন।
এছাড়াও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে ৩১ হাজার ২৪০টি। বন্যায় ২টি ব্রিজ ও ৭টি স্কুল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্তদের শনিবার ৩শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, বন্যায় গত ১ সেপ্টেম্বর তার উপজেলায় রুহান মিয়া নামে দুই বছরের একটি ছেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গো-চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গরু, ছাগল ও ভেড়ার খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বন্যাকবলিতদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কৃষি জমি তলিয়ে গেছে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর। এ ছাড়াও অর্ধশত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। শনিবার বানভাসীদের মধ্যে ১৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানিয়েছেন।