চলনবিলে অবাধে চলছে মা বোয়াল মাছ শিকার!
মৎস্য
সিরাজগঞ্জের চলনবিলে এখন ডিমওয়ালা বোয়াল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে অসৎ মৎস্যজীবিরা।
স্থানীয়রা জানান, চলনবিলে জ্যৈষ্ঠের এ সময় বৃষ্টি হলেই বোয়াল মাছ প্রজননের জন্য ফাঁকা মাঠে উঠে আসে। আর উঠে আসা ডিমওয়ালা মা মাছ গুলো সৌখিন ও অসাধু মৎস্য জীবিদের শিকার হচ্ছে। ডিমওয়ালা এ মাছ স্থানীয় হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও স্থানীয় মৎস্য বিভাগের প্রতিরোধ মূলক ভুমিকা নেই।
জ্যৈষ্ঠ মাসে ভারী থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাতের সময় এ মাছের প্রজনন শুরু হয়। এ বিলে বর্ষণের পানিতে ভরে ওঠার সাথে সাথে ডিম ভর্তি বোয়াল, শোল, চিতলসহ অনান্য মাছও প্রজনন শুরু করে। আর এ সময় চলনবিলে চলছে ডিমওয়ালা বোয়াল মাছসহ অন্যান্য মাছ ধরার প্রায় উৎসব।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের সময় এ চলনবিলে বোয়ালসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ডিম ছাড়তে ছুটা-ছুটি করতে থাকে। বিশেষ করে ৫ থেকে ১২ কেজি ওজনের বোয়ালসহ ওই সকল মাছ গুলো ফসলী মাঠে উঠে আসে। আর এ সময় সৌখিন এবং অসাধু মৎস্যজীবিরা কোঁচ, জুতি, পলো, তেউরি জালসহ অনান্য কৌশলে এসব শিকার করা হচ্ছে।
এদিকে চলনবিলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুরে গত এক সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টির সময় পানিতে ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ ডিম ছাড়ার সময়ে বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মা মাছ শিকার করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় আড়তে বোয়াল মাছসহ বিভিন্ন ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মশগুল আজাদ জানান, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা। তাড়াশের চলনবিল এলাকায় ইতিমধ্যেই ডিমওয়ালা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবাউল করিম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।