চার ধরনের নতুন ফসল চাষে থাকছে ঋণ
কৃষি বিভাগ
চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ কর্মসূচির আওতায় দেশে চাষযোগ্য আরও চার ধরনের নতুন ফসলের বিপরীতে ঋণ দেওয়া যাবে। এগুলো হচ্ছে-সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল, সুইট কর্ন ও কফি চাষ। ফসল সংগ্রহের পর থেকেই ঋণের কিস্তি আদায় করতে হবে।
এর মধ্যে সৌদি খেজুর চাষে বাগান পরিচর্যার জন্য একর প্রতি সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৫ হাজার ৪০০ টাকা, ভিয়েতনামি নারিকেল চাষে বাগান পরিচর্যার জন্য একর প্রতি সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া যাবে।সুইট কর্ন চাষে একর প্রতি সর্বোচ্চ ৬৬ হাজার টাকা এবং কফি চাষে বাগান পরিচর্যার জন্য একর প্রতি সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া যাবে।
তবে সুইট কর্নের ক্ষেত্রে প্রতি বছরের ১৪ মে থেকে ১৪ জুন সময়ে ফসল উত্তোলন করা হয়। এক্ষেত্রে ওই সময়ে ঋণের কিস্তি আদায় করতে হবে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, সুইট কর্নে প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর এই এক মাস এবং বাকি তিন ধরনের ফসলে সারা বছরই ঋণ দেওয়া যাবে। সুদের হার ৮ শতাংশ। এসব ফসলের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ঋণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২৯ জুলাই চলতি অর্থবছরের জন্য ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লি কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৮ শতাংশ সুদে এসব ঋণ কৃষি খাতে বিতরণ করতে হবে। ঘোষিত কর্মসূচিতে সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল, সুইট কর্ন ও কফি চাষে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। কিন্তু পরে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পারে দেশে বর্তমানে সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল, সুইট কর্ন ও কফি চাষ করা হচ্ছে।
এগুলোতে ভালো ফলনও পাওয়া যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান হচ্ছে, অন্যদিকে দেশজ উৎপাদন বাড়ছে। এর মধ্যে সুইট কর্ন ও কফি রপ্তানি করাও সম্ভব। বিদেশ থেকে প্রতি বছর মোটা অঙ্কের সৌদি খেজুর ও ভিয়েতনামি নারিকেল আমদানি করতে হচ্ছে। দেশে এগুলো উৎপাদন করা সম্ভব হলে আমদানি বাবদ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এসব সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে।