চীনের পর চাল আমদানিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশ
এগ্রিবিজনেস
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) চলতি মাসের ‘খাদ্যশস্য: বিশ্ববাজার ও বাণিজ্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ বাণিজ্য বছরে বাংলাদেশ ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে।
চাল আমদানিতে প্রথম অবস্থানে থাকা চীন প্রতি বছর ৪৫ লাখ টন চাল আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফিলিপাইন প্রতি বছর ২৬ লাখ টন চাল আমদানি করে।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা নাইজেরিয়ার আমদানি পরিমাণ ১৯ লাখ টন এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা সৌদি আরব প্রতি বছর ১৩ লাখ টন চাল আমদানি করে।
সম্প্রতি ইউএসডিএর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশ এখন বড় আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের আমদানি ধারাবাহিক নয়। মানে হলো, কোনো বছর উৎপাদন কম হলে বাংলাদেশ চাল আমদানি করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০২১-২২ সময়ে চাল উৎপাদন আগের পূর্বাভাসের তুলনায় সাড়ে ৭ লাখ টন কম হতে পারে। উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টন।
অন্যদিকে বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে মোটা চাল খুচরা পর্যায়ে কেজি ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের দাম কেজি ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া মাঝারি চাল কেজি ৫২ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আমদানি মূল্যের তালিকা দিতে গিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করলে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম পড়বে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, পাকিস্তানে ৩৪ টাকা, ভিয়েতনামে ৩৮ টাকা এবং থাইল্যান্ডে ৪০ টাকা।