জমকালো আয়োজনে “বিশ্ব ডিম দিবস” পালন করল বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী
প্রাণিসম্পদ
জাঁকজমক আয়োজনে ‘বিশ্ব ডিম দিবস ২০২২′ পালন করলো বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী ইন্টারন্যাশনাল এগ।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী সাধারণ ভোক্তার মাঝে সিদ্ধ ডিম বিতরণ, বর্ণিল টি-শার্ট বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএএস এর উদ্যোগে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ২য় শুক্রবারে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় “বিশ্ব ডিম দিবস”।
ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর এ বিশেষ দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী (BAAS)।
ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন ১৯৯৬ সালে প্রথম দিবসটি পালন করে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। বাংলাদেশে প্রথম দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী।
এ বছর ১৪ অক্টোবর পালিত হয় “বিশ্ব
ডিম দিবস’, যা বাংলাদেশে এ দিবসটি পালনের ১০ম বর্ষ।
সংগঠনটি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ চত্বরে ডিমের সাথে জড়িত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, দেশের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং বিশিষ্ট গনমাধ্যম ব্যাক্তিত্বদের নিয়ে “ডিমের পুষ্টি ও বাংলাদেশের এগ ইন্ডাস্ট্রী” শিরোনামে একটি গোল-টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এ, এই্ এম, সফিকুজ্জামান, মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর।
প্রফেসর ড. কে, বি, এম, সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগ, এনিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারী মেডিসিন অনুষদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
কৃষিবিদ মোঃ মোরশেদ আলম, সভাপতি, বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটি (BAAS)।জুলিয়াস গিথিঞ্জি মুচেমি, লাইভস্টক এক্সপার্ট, FAO।
সোহরাব হাসান, যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো।সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সিইও, গ্লোবাল টেলিভিশন।এস, এম, আকাশ, প্রধান, বার্তা বিভাগ, দীপ্ত টিভি।ড. নাজনীন আহমেদ, কান্ট্রি ইকোনমিস্ট, UNDP।ডাঃ মোসাদ্দেক হোসেন, প্রাক্তন মহাপরিচালক, প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর।
-নাছির উদ্দিন, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, এডভান্সড পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিড লিমিটেড। ড. আনিসুর রহমান, ভ্যালু চেইন বিশেষজ্ঞ।সামিয়া তাসনিম এনি, পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড গুলশান লি.।
অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ডিবিসি নিউজ টিভি এর এডিটর প্রনব সাহা।
উপস্থিত বক্তারা উপলব্ধি করেন যে বর্তমানের এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের মূল্য সহনী পৰ্য্যায়ে রাখতে পোল্ট্রি খাদ্যে ভর্তুকী প্রয়োজন।
বক্তারা একমত হন যে ডিম ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ন ডিম বিপনন কেন্দ্রে ‘অকশন হাউজ” স্থাপন করে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিপনন করা প্রয়োজন এবং এ ব্যাপারে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটীর সভাপতি কৃষিবিদ মো. মোরশেদ আলম বিশ্ব ডিম দিবস এবং বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।