১০:০১ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ঝিনাইদহে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে রবিশস্যের চাষ
ads
প্রকাশ : জানুয়ারী ১৭, ২০২২ ৪:০২ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে রবিশস্যের চাষ
কৃষি বিভাগ

ঝিনাইদহে মৌসুমের শুরুতেই বৈরি আবহাওয়া এবং অতি বৃষ্টির কারণে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে রবিশস্যের চাষ। ডিসেম্বরের শুরুতে অতি বৃষ্টির জন্য নষ্ট হয়েছে জেলার শতকরা ৮০ ভাগ জমির ফসল। এতে করে চরম লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা। আগামীতে খেসারি, মশুরি, গম, মটরসহ অন্যান্য রবিশস্যের অস্বাভাবিক ঘাটতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলার ছয় উপজেলার মাঠে চাষ হওয়া গম ৪৩৫৪ হেক্টরের মধ্যে ৪০০৭ হেক্টর, সরিষা ৯১৭১ হেক্টরের মধ্যে ৭৮৩৮, মশুর ৭৫৭৩ হেক্টরের মধ্যে ৬৭৫৫, খেসারি ৫৮৯ হেক্টরের মধ্যে ৪৯৫, মটর ৪৩৩ হেক্টরের মধ্যে ৩৮৮, মরিচ ৫৮৮ হেক্টরের মধ্যে ৪৫৫ এবং আলু ১৩৭৩ হেক্টরের মধ্যে ৯৮৬ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষতির তালিকায় অন্যান্য ফসলও রয়েছে। রবিশস্য আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার ৪৯ হাজার ৪৪৭ জন কৃষক। গত ৫ ডিসেম্বরের ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পানি জমে থাকায় এসব ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলছে কৃষি বিভাগ বলছে।

সাধারণত ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়কালকে রবি মৌসুম বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় রবিশস্যের আবাদ। এই আশায় যথারীতি কৃষকরা ভালো ফলনের আশায় কেউ জমি চাষ করে গম বপন করেছিলেন, কেউবা মশুরি, সরিষা কিংবা আমন ধানের ক্ষেতে ছিটিয়ে ছিলেন খেসারির বীজ। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় তা নষ্ট হলে আবার তারা ক্ষেতে বীজ বপন করলেও অধিকাংশ ফসলই নষ্ট হয়ে যায়। কোনো কোনো এলাকায় কিছুটা মশুরি থাকলেও পাতা হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে গাছ। তবে খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সরিষা ক্ষেত।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার যুগনী গ্রামের কৃষাণী রিনা বেগম জানান, অন্যের জমি লিজ নিয়ে ফসল চাষ করে চালান নিজের সংসার। রবি মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় এক বিঘা জমিতে খেসারির বীজ ছিটিয়ে ছিলেন। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে পানি জমে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। পানি সরে গেলে পরে আবার খেসারির বীজ ছিটালেও মাটি ভেজা থাকায় তা আর অঙ্কুরিত হয়নি।

একই গ্রামের কৃষক তরিকুল জোয়ার্দার বলেন, ছয় বিঘা জমিতে দুইবার করে খেসারি আর কলই বীজ ছিটিয়ে ছিলেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু ফসল নষ্ট হয়ে তার পুরো টাকা লোকসানে গেছে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা বৈরি আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পানি সরে গেলে পরে অনেকেই আবার নতুন করে আবাদ করলেও সময় পার হওয়ায় সেখানেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop