ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা
প্রাণ ও প্রকৃতি
ডালিমে ক্যালোরি এবং চর্বির পরিমাণ কম, কিন্তু ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি সাইজের ডালিমে মেলে ২৩৪ ক্যালোরি, ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি এবং ১১.৩ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় ফলটি থেকে। নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব সুমিষ্ট ফল ডালিম খেলে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগের সমৃদ্ধ উৎস ডালিম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ডালিম খেলে।
ডালিমের যৌগগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি টিউমারের বৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগীদের জন্য দালিম বেশ উপকারী ফল। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের রস পান করলে বুকে ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়। সেইসাথে হার্টের স্বাস্থ্যের উপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে ফলটি।
প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় ডালিম থেকে। রক্তশূন্যতা রোধ করতে ডালিম খেতে পারেন প্রতিদিন।
২০১৪ সালের এক গবেষণায বলছে, ডালিমের নির্যাস রক্তে অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ডালিমে এমন যৌগ রয়েছে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে মুখের জীবাণু যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে।
ডালিমের নির্যাস ক্লান্তি দূর করে ও কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ডালিমে রয়েছে এলাজিটানিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখে ডালিম। আলঝেইমার এবং পারকিনসন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে ফলটি।
ফাইবার সমৃদ্ধ ডালিম হজমের গণ্ডগোল দূর করতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন